Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মানতের সোনায় ধনী বারোয়ারি

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও কোনও বারোয়ারির হাতে জমা হওয়া সেই গয়নার পরিমাণ প্রায় ১০ থেকে ১১ কিলোগ্রামের মতো। শহরের যত ছোট বারোয়ারি হোক না কেন, তাদের হাতে কিছু না কিছু সোনা আছেই। 

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০২:২৭
Share: Save:

সন্তান কামনা থেকে ছেলের চাকরি বা মেয়ের বিয়ে। নানা কারণেই কৃষ্ণনগর শহরের মানুষ সোনার গয়না মানত করেন দেবী জগদ্ধাত্রীর কাছে। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এই প্রথার সৌজন্যে কেজি-কেজি সোনা জমা হয়েছে শহরের বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো কমিটির হাতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও কোনও বারোয়ারির হাতে জমা হওয়া সেই গয়নার পরিমাণ প্রায় ১০ থেকে ১১ কিলোগ্রামের মতো। শহরের যত ছোট বারোয়ারি হোক না কেন, তাদের হাতে কিছু না কিছু সোনা আছেই।

প্রতি বছর সেই অলঙ্কার পরিয়ে দেওয়া হয় প্রতিমার গায়ে। শহরের বড় বড় বারোয়ারিগুলির প্রতিমার অলঙ্কারও তাই এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। কোন প্রতিমার কত সোনার গয়না আছে, তা কৃষ্ণনাগরিকদের অন্যতম আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে প্রতি বছরই। প্রতিমার ধন-সম্পত্তিতে সকলের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমা। পুজো কমিটির দাবি, তাদের সোনার গয়নার পরিমাণ এই মুহূর্তে প্রায় ১২ কিলোগ্রামের মতো।

সারা বছর এই বিপুল পরিমাণ গয়না রাখা থাকে ব্যাঙ্কের চারটি লকারে। পুজোর দিনগুলিতে শুধু বার করে নিয়ে এসে প্রতিমার গায়ে পরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরে আবার রেখে আসা হয় লকারে। যেহেতু বুড়িমা প্রতিমা সব চেয়ে জনপ্রিয়, তাই তাঁর কাছেই মানুষ বেশি করে মানত করেন। ফলে প্রতি বছরই অনেক বেশি সোনার গয়না জমতে থাকে তাদের হাতে। চাষাপাড়া বারোয়ারির সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “প্রতি বছর প্রচুর মানুষ বুড়িমার কাছে সোনার গয়না মানত করেন। সেই সোনার গয়নার সমস্তটাই হিসাব করে রাখা থাকে। প্রতিমার শরীরে যতটা গয়না ধরে সেটা আমরা পরিয়ে দিই। বাকিটা রাখা থাকে লকারে।”

শহরের অন্যতম বড় ও পুরনো বারোয়ারি কাঁঠালপোতা বারোয়ারি। তার প্রতিমার নাম ছোট মা। শহরের অন্যতম ধনী দেবী বলে পরিচিত। তবে বুড়িমার চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। তাঁর সোনার গয়নার পরিমাণ ২৬ ভরি। শহরের ধনী দেবীদের তালিকায় কাঁঠালপোতার পাশাপাশি আছে হাতারপাড়া, চকেরপাড়া, বাঘাডাঙার মতো বারোয়ারিগুলিও। তাদের হাতেও আছে বেশ কয়েক ভরি করে সোনার গয়না। কাঁঠালপোতা বারোয়ারির সভাপতি দেবাশিস রায় বলেন, “এটা এখন গোটা শহরের রেওয়াজ। প্রতিটা বারোয়ারিতেই মানত করা হয় সোনার গয়না। আমাদের প্রতিমাকে মানতের জন্য যে গয়না দেওয়া হয় তা পরিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ছোট ছোট গয়না গলিয়ে বড় গয়না গড়ে নেওয়া হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ornaments Gold Pilgrim Jagadhatri Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE