মিলিজুলি: সোমবার রঘুনাথগঞ্জে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
জেলা জুড়ে নিরন্তর দলীয় আকচাআকচির ঘোলাটে আবহ রানিনগরে এসেই আঁচ পেয়েছিলেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন, ‘ঐক্য বাধ্যতামূলক’। চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি, নিজেদের মন কষাকষির অন্তত বাহ্যিক প্রকাশ মুছে ফেলতে হাতেহাত মিলিয়ে পিকনিকে মাতলেন জঙ্গিপুরের দলীয় নেতারা।
বহরমপুর থেকে ডোমকল, একের পর এক গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার শাসক দলের অনৈক্যের ছবিটা সামনে এসে পড়েছিল রবিবারও। রানিনগরের সভায়, শুভেন্দুর সামনেই বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ডোমকলের পুরপ্রধান সৌমিক হোসেন। তার পরেই কড়া বার্তা ছিল শুভেন্দুর। সে বার্তা জঙ্গিপুরেও পৌঁছেছিল। সোমবার তাই তড়িঘড়ি ঐক্যের পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় নেতারা।
একে অন্যের সভায় যাওয়া তো দূরের কথা, মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল মন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে জঙ্গিপুরের একাধিক পদাধিকারীর। সোমবার বৈঠক কাম-পিকনিকে দেখা গেল সেই জাকির হোসেন মহকুমার সাত ব্লকের সভাপতি, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সভাপতি, পুরপ্রধান এবং কাউন্সিলারদের নিয়ে হইহই করছেন।
কোন্দল হঠাৎ যেন উঠে এল গলাগলিতে। পিকনিক সেরেই দলের সাত নেতা সোজা চলে গিয়েছিলেন পুরভবনে বৈঠকে। বিকেল ৫টায় জাকির হোসেন, মহকুমা সভাপতি বিকাশ নন্দ, ব্লক সভাপতি মুক্তি ধর, জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলাম, মহম্মদ সোহরাব, বিধায়ক আখরজ্জামানকে নিয়ে শুরু হয় গোপন বৈঠক।
বিকাশ বলছেন, “শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই এই বৈঠকের আয়োজন। সঙ্গে পিকনিক। দলের স্বার্থেই নেতাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে বলেছেন তিনি। পিকনিকটা বাড়তি পাওনা।”
দলের ব্লক সভাপতি মুক্তিপ্রসাদ ধর বলছেন, “মাঝে মধ্যেই এই ধরনের পিকনিকের আয়োজন করা তো ভাল। সবাই তো আর সুগারের রোগী নয়। এতে সকলের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত হয়। হাল্কা রসিকতা!” মন্ত্রী জাকিরও বলছেন, ‘‘আমি সবাইকে নিয়ে মিলেমিশেই চলতে চাই। নেতা ও কর্মীদের মধ্যে সদ্ভাব ফেরাতেই তাই এই চেষ্টা। ”
এই পিকনিকের সব আয়োজন ও নিমন্ত্রণের নিয়ন্ত্রণ ছিল দলের মহকুমা সভাপতি হিসেবে বিকাশ নন্দের হাতেই। আমন্ত্রণের তালিকা থেকে তিনি বাদ দেননি কাউকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy