স্বজনহারা: মৃতার স্বামী ও মেয়ে। নিজস্ব চিত্র
গাড়ির ধাক্কায় মা, ছেলে-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল রবিবার রাতে। তার জেরে সোমবারও উত্তেজনা ছড়ালো কোতয়ালি থানার ভূতপাড়ায়। এলাকায় দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে যানবাহনের গতিতে রাশ টানা এবং কৃষ্ণনগর-বগুলা রোডে হাম্প তৈরির দাবিতে প্রায় ঘণ্টা তিনেক পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা।
রবিবার রাতে দুর্ঘটনার পরেই কৃষ্ণনগর-বগুলা রোড অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে প্রশাসনিক আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। সোমবার সকালে ফের ওই রাস্তায় তাঁরা অবরোধ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ওই এলাকায় প্রায়-ই দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে রাস্তায় হাম্প তৈরি করে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাঁদের দাবি মেনে সেখানে এ দিন হাম্প তৈরির কাজ শুরু হলে অবরোধ ওঠে।
রবিবার রাতে এখানে গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মা ও ছেলের। তাঁদের নাম রূপমালা বিশ্বাস (৩৪) ও অর্পণ বিশ্বাস (৫)। পরে হাসপাতালে মারা যান আলপনা বিশ্বাস নামে আরও এক জন। ঘটনায় জখম হন ছয় জন। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় ভূতপাড়ার বাসিন্দা রূপমালাদেবী তাঁর ছেলে, মেয়ে এবং আত্মীয়ার সঙ্গে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে আরও কয়েক জন ছিলেন। আচমকা কৃষ্ণনগরগামী একটি গাড়ি তীব্র বেগে এসে পিছন থেকে তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় রূপমালাদেবী এবং তার ছেলে অর্পণ। গুরুতর জখম হয় রূপমালার মেয়ে মাম্পি ও আরও সাত জন। তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাম্পি এবং রূপমালার এক বৌদি আলপনা কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে মারা যান আলপনা। এই দুর্ঘটনা ঘটার আগে গাড়িটি কয়েকটি বাইককেও ধাক্কা মেরেছিল বলে দাবি এলাকাবাসীর। রূপমালাদের ধাক্কা মারার পরে গাড়ি ফেলেই পালিয়ে যান গাড়ির চালক। গাড়িটি আটক করেছে পুলিশ। চালকের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy