Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দল-শিবির নেই, দিদির সেনা ভোলা

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন জায়গায় এ ভাবে ফ্লেক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ভোলা চট্টোপাধ্যায়কে।

ভোলা চট্টোপাধ্যায়।

ভোলা চট্টোপাধ্যায়।

সৌমিত্র সিকদার
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:৩৬
Share: Save:

দু’হাতে ধরা একটি ফ্লেক্স। সেই অবস্থায় এগিয়ে হেঁটে চলেছেন এক যুবক। দূর থেকে বোঝা যাচ্ছিল না, বিষয়টি কী।

কাছে আসতে দেখা গেল, ফ্লেক্সে বড় বড় করে লেখা, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বাংলার উন্নয়নে দিদিই সেরা। দেশের উন্নয়নে দিদিকেই চাই। সাধারণ নাগরিক। রানাঘাট।’

ওই যুবকের নাম ভোলা চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি রানাঘাটের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন জায়গায় এ ভাবে ফ্লেক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। কাউকে কিছু বলেন না। তাঁকে ফ্লেক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পথচলতি মুখ ফিরে তাকান। দেখে ফের হাঁটা শুরু করেন। বছর পঁয়তাল্লিশের ভোলার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কিছু কাজ আমার ভাল লাগে। যেগুলো গরিব মানুষের খুব কাজে লাগছে। সেই কারণে তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য আমি সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ভোলার তিন ভাই। তিনি সকলের ছোট। দুই দাদার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি শহরের বিভিন্ন দশকর্মার দোকানে জিনিস সরবরাহ করেন। মাসে হাজার তিনেক টাকা আয় হয়। ভোলা জানান, জমানো দু’হাজার টাকা দিয়ে ২৫টি ফ্লেক্স ছাপিয়েছেন তিনি। এখন যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই ফ্লেক্স সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক দিন আগে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানেও একই ভাবে প্রচার করেছেন। কয়েকটি জায়গায় ফ্লেক্সও টাঙিয়েছেন।

ভোলার বন্ধু গণেশ দাস বলেন, “ভোলা ভাল ছেলে। তার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। এটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার। এতে কারও আপত্তি জানানোর কোনও জায়গা আছে বলে আমার মনে হয় না। আমার খুব একটা খারাপ লাগছে না।” রানাঘাট শহর তৃণমূলের সভাপতি অসিত দত্ত বলেন, “ভোলা এলাকায় সাদাসিদে ও ভাল ছেলে বলে পরিচিত। একটু প্রতিবাদীও। অন্যায় সহ্য করেন না। এর আগে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমিও দেখেছি, তিনি ফ্লেক্স নিয়ে প্রচার করছেন। তবে, তিনি মিথ্যা কিছু প্রচার করছেন না।” বিজেপি নদিয়া দক্ষিণ জেলার সম্পাদক পঙ্কজ বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কী উন্নয়ন করেছেন, তা রাজ্যের মানুষ খুব ভাল করে জানেন। তাঁকে দেশের উন্নয়নে প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। কেউ বা কারা ভোলাকে এই কাজের জন্য ইন্ধন জোগাচ্ছেন।”

নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE