Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে পথে প্রথম বামেরাই

রাজনীতির সমীক্ষকেদের কেউ কেউ আবার মত দিচ্ছেন, বামেরা এ ক্ষেত্রে সবাইকে পিছনে ফেলে সবচেয়ে আগে পথে নেমেছে বটে কিন্তু সার্বিক ভাবে তাদের সক্রিয় হতে দেরি হয়েছে।

সম্রাট চন্দ
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৯ ০১:১২
Share: Save:

গত কয়েক বছর ধরেই ক্ষয়িষ্ণু চেহারায় দেখা যাচ্ছে তাদের। এ বারের লোকসভা ভোটেও তারা কার্যত নিস্প্রভ। সেই বামেরাই কিন্তু কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনার প্রতিবাদে ঠিক তার পর দিনই অন্য সব দলের আগে জেলায় পথে নেমেছে। তাতে রাজনৈতিক মহলের একাংশ চমকিত, আর এক অংশ প্রশ্ন তুলেছে, ‘এত দিন কোথায় ছিলেন?’

রাজনীতির সমীক্ষকেদের কেউ কেউ আবার মত দিচ্ছেন, বামেরা এ ক্ষেত্রে সবাইকে পিছনে ফেলে সবচেয়ে আগে পথে নেমেছে বটে কিন্তু সার্বিক ভাবে তাদের সক্রিয় হতে দেরি হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের দল থেকে অনেকে গেরুয়া শিবিরে চলে গিয়েছেন। রাজ্যে বিজেপির যতটুকু বাড়বাড়ন্ত তার জন্যও সিপিএমকেই দায়ী করে থাকেন অনেকে। জেলায় পঞ্চায়েতে নিচুতলায় রাম-বাম জোট সামনে এসেছে। বিশেষত তেহট্ট মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় উভয় দলের একসঙ্গে দেওয়াল লিখন নজরে এসেছে। নিজেরা লড়াইয়ে পারবে না বুঝে সিপিএম তাঁদের ভোট বিজেপির দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে তৃণমূলকে প্যাঁচে ফেলতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠছে। এই রকম একটা অবস্থায় দাঁড়িয়ে মূর্তিভাঙার ঘটনায় সিপিএম তাঁদের নিজস্ব সত্ত্বা ফিরে পেতে চাইছে এবং দল হিসাবে একাকী লড়াইয়ের ক্ষমতা জানান দিতে চাইছে বলে অনেকের ধারণা। তাঁদের মতে, শেষবেলায় ঘুরে দাঁড়ানোর এটা একটা মরিয়া চেষ্টা।সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং জেলা সম্পাদক সুমিত দে যেমন দাবি করেছেন, “আমাদের কর্মীরা অন্য কোনও দলে যাননি বা অন্য দলের হয়ে ভোট করাননি। আমাদের হয়েই ভোট করেছেন। ২৩ তারিখেই প্রমাণ হয়ে যাবে কার ভোট কার দিকে গিয়েছে। আমাদের ভোট আমাদের দিকেই থাকবে।”

হরিণঘাটা হোক বা করিমপুর— বুধবার নদিয়ার সর্বত্রই কখনও ধিক্কার মিছিল, কখনো প্রতিবাদ সভায় সামিল হয়েছে সিপিএম। বেশ কিছু জায়গায় মিছিলে যুব এবং ছাত্র সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিও দেখা গিয়েছে। নিজেদের সংগঠন ধরে রাখতে, হারানো জমি ফিরে পেতেই এটা হচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনাকে সামনে রেখে এ দিন আগাগোড়াই বিজেপি ও তৃণমূল—উভয়ের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছে সিপিএম। এর আগে লোকসভা ভোটের দিনও সিপিএমকে কিছুটা সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে। অন্তত রানাঘাট লোকসভার বিভিন্ন জায়গায় বুথ জ্যাম, ছাপ্পা রুখতে অনেক বেশি সক্রিয় ছিলেন সিপিএম কর্মীরা। পাশাপাশি শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক বার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে এখনও নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া সিপিএম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE