চাকদহে স্কুলে আশ্রয়। নিজস্ব চিত্র
সকাল থেকেই মুখভার করে ছিল আকাশ। বাজারে, স্টেশনে লোকের আনাগোনা অন্য দিনের তুলনায় বেশ কম। গাড়িও কম। সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই নামল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে মেঘের গর্জন। রাতে ফণী আসার আগেই যেন এক বার মহলা হয়ে গেল।
আর তাতেই মিইয়ে গেল বনগাঁ কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের শেষ লগ্নের প্রচার। সোমবার এই কেন্দ্রে নির্বাচন। আজ, শনিবার বিকেলেই প্রচার শেষ। কিন্তু ফণীর দাপটে তা-ও কতটুকু করা যাবে, সেই সংশয় রয়েই গেল। যদিও সব দলই মরিয়া চেষ্টা করছে।
শুক্রবার দুপুরে বৃষ্টির গতি একটু ধরতেই মাইকে ভেসে আসে স্লোগান — ‘দিদির পায়ে হাওয়ায় চটি, ভাইয়েরা সব কোটিপতি, এই তৃণমূল আর নয়...’। কল্যাণী ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রামে-গ্রামে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে প্রচারে বেরিয়েছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তবে স্লোগান শুনলেও ট্যাবলো দেখতে পথে বেরিয়েছেন কম জনই। দলের কর্মীরা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রার্থীর সমর্থনে বাড়ি-বাড়ি লিফলেট বিলি করেছেন, ছোট সভাও করেছেন বলে জানাচ্ছেন জেলা বিজেপি সম্পাদক পঙ্কজ বসু।
কল্যাণী বিধানসভা এলাকারই শিমুরালি বাজারে এ দিন দলের প্রার্থী মমতা ঠাকুরের সমর্থনে পথসভা করে তৃণমূল। ভ্যাপসা গরমের পরে বৃষ্টি গায়ে মেখেই কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সরব হন বক্তারা। শিমুরালি অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি লাল্টু সাহা বলেন, “বিকালে এই সভা করার কথা ছিল। কিন্তু ঝড়বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই সকালে সভা করে ফেলা হয়েছে।” হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল দেবনাথ বলেন, ‘‘ঘরোয়া বৈঠক তো হয়েছেই। বিকালে মোহনপুরে পদযাত্রাও হয়েছে। দেখা যাক, শনিবার পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়।”
গয়েশপুর পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সকালেই দফায়-দফায় মিছিল করেছে সিপিএম। তার পরে বৃষ্টি এসে যাওয়ার বিভিন্ন জায়গায় ছোট-ছোট সভা করেছে। দলের প্রার্থী অলকেশ দাসের দাবি, “বৃষ্টি আমাদের রুখতে পারেনি। ফণীও পারবে না। শনিবার আমি গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাব।” বিজেপির পঙ্কজ জানান, শেষ দিনে তাঁদের আর বড় সভা কিছু নেই। চঞ্চল দেবনাথ সন্দিহান, শেষ বেলায় তাঁদের যে মোটরবাইক র্যালি হওয়ার কথা, তা আদৌ করা যাবে কি না। ‘‘তবে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার কাজ চলবে”— বলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy