Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

গরমে প্রাণ জুড়োতে নেতার চাই ‘গুলুকুন্ডি’

সোশ্যাল মিডিয়ায় কে যেন ব্যঙ্গ করে গুলুকুন্ডি’র পোস্ট করেছেন। তার নীচে লাইক-হাসির ইমোজি। সঙ্গে কমেন্টের ছড়াছড়ি।

প্রতি বার সেই গরমেই ভোট হয়।

প্রতি বার সেই গরমেই ভোট হয়।

শুভাশিস সৈয়দ
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:২৯
Share: Save:

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি ছাড়া এখন আর চলে না। পায়ে হাঁটার অভ্যাস গত লোকসভা ভোটে জয়ী হওয়ার পর থেকেই চলে গিয়েছে। এ দিকে, প্রতি বার সেই গরমেই ভোট হয়। গরমে ঘেমেনেয়ে পায়ে হেঁটে এলাকা ঘুরে ক্লান্ত সেই প্রার্থী তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকে বললেন— ‘গুলুকুন্ডি’র বোতলটা দাও তো! গলা শুকিয়ে গিয়েছে।’’

নিরাপত্তারক্ষী: স্যর গুলুকুন্ডি কী?

প্রার্থী: এ তো মহা ফ্যাসাদে পড়ালাম। গুলুকুন্ডি চেনো না!

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নিরাপত্তারক্ষী: এটা কী স্যর বাজারে নতুন এসেছে? কোনও ওষুধ?

প্রার্থী: উফফ! গুলুকুন্ডি-গুলুকুন্ডি কত বার বলবো? অনেক পুরনো জিনিস। সবাই জানে। তুমি জানো না। আজব!

ঠিক তখনই পাশ থেকে এক জন কর্মী বলেন, ‘‘স্কুল থেকে ছেলেমেয়েরা ফিরলে আমরা জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ায়।’’

নিরাপত্তারক্ষী: (করুণ সুরে) ওটা কী জিনিস ভাই? কী দিয়ে বানানো?

কর্মী: ওটা গ্লুকন-ডি দাদা। (পরে কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে চুপিচুপি) বুঝতেই পারছেন আমাদের নেতার যা শিক্ষাগত যোগ্যতা, তাতে এ ধরনের ভুল হতেই পারে!

ভোটের বাজারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাতে এক-এক জনের শিক্ষাগত যোগ্যতার বহর দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় কে যেন ব্যঙ্গ করে ওই গুলুকুন্ডি’র পোস্ট করেছেন। তার নীচে লাইক-হাসির ইমোজি। সঙ্গে কমেন্টের ছড়াছড়ি।

‘স্নাতকই নন! মনোনয়ন জমা দিয়ে স্বীকার করলেন স্মৃতি’, বলে ছবি দিয়ে পোস্ট করে লিখেছেন—‘হে রাম! কখনও বিএ, কখনও বি-কম পাশ/ভারতের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এ বার তো ধপাস!’

ওই পোস্টের নীচে এক জন জানতে চেয়েছেন—‘গত বারের সত্যতা আড়ালের জন্য কমিশন কি কোনও পদক্ষেপ করবে?’ হাসির ইমোজি দিয়ে এক জন লিখেছেন, ‘‘যে ভাবে প্রতি বার ভোটের আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা কমছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নার্সারি না হয়ে যায়!’’

এ দিকে গৃহকর্ত্রীর নীল ষষ্ঠীর উপোসের ঘনঘটা দেখে গৃহকর্তা স্ত্রীকে শুনিয়ে শুনিয়ে ফ্ল্যাটের এক পড়শিকে বলছেন—‘জানেন, আজ সকালে হোয়াটসঅ্যাপে একটা দারুণ মেসেজ এসেছে। ছেলে তার বাবাকে বলছে—‘‘ঘুম থেকে উঠেই জানতে পারলুম আজ নাকি মায়ের উপোস... কারন নীল ষষ্ঠী!’’ বাবা খবরের কাগজ থেকে মুখ না তুলে বললেন—‘‘হুমম! রাখ তোর মায়ের উপোস! উপোস তো করেছিলেন দিদি... সেই যে অত দিন উপোস করলেন তাতেই তো পরে চারদিক কেমন নীল হয়ে গেল। ওটাকেই বলে আসল নীল ষষ্ঠী।’

সোশ্যাল মিডিয়ার একটি রাজনৈতিক গ্রুপে এক জন পোস্টে দিয়েছেন—‘নেতারা বলছে ভোটে জিতলে গরিবদের টাকা দেবেন। তা আমি বলছি ভোটের আগেই টাকাটা দেন না। না জিতলে আমরা ফেরত দিয়ে দেব। এত দিন তো আমরা ভরসা করলাম। এ বার না হয় এক বার আপনিই ভরসা করুন।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE