Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঝাঁপাবেন কার জন্য, জানেন না ওঁরা

এক নেতার কতায়, ‘‘বড় অস্বস্তি, বড় অস্থিরতা, বুঝলেন না!’’ ফলে অস্থির হয়ে পড়েছেন দলের কর্মীরাই। সেই অস্থিরতার কথা প্রকাশ্যে বলছেনও তাঁরা। 

প্রতীক আছে, প্রার্থী কই!

প্রতীক আছে, প্রার্থী কই!

অনল আবেদিন
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০১:৩৭
Share: Save:

মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্য প্রচারের জন্য হাতে সময় সাকুল্যে চার সপ্তাহ।

বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর জন্য সেই সময় দিন কয়েক বেশি, ৩৪ দিন। তবুও ওই দুই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর নাম আজও কেউ জানেন না। না দলীয় কর্মী, না ভোটার।

এক নেতার কতায়, ‘‘বড় অস্বস্তি, বড় অস্থিরতা, বুঝলেন না!’’ ফলে অস্থির হয়ে পড়েছেন দলের কর্মীরাই। সেই অস্থিরতার কথা প্রকাশ্যে বলছেনও তাঁরা।

ক্ষোভ প্রশমিত করতে জেলা নেতাদের নামতে হয়েছে আসরে। ‘বাবা! বাছা!’ করে তরুণ কর্মীদের গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করছেন তাঁরা। কর্মীদের বলছেন, ‘‘আর দু’টো দিন ধৈর্য ধর বাবা! প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়ে যাবে দু-এক দিনেই।’’ বিজেপির জেলা নেতাদের উদ্দেশ্য বিজেপির তৃণমূল স্তরের কর্মীরা ছুঁড়ে দিচ্ছেন নানা প্রশ্ন। বলছেন, ‘‘কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএমের প্রাথীর নাম ঘোষণা হয়েছে সেই কবেই। তাঁরা প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারে নেমেও পড়েছেন সপ্তাহ দু’য়েক আগে। বিজেপি নাকি ক্যাডার বেস সুশৃঙ্খল পার্টি! তা হলে প্রাথীর নাম ঘোষণা করতে এত দেরি কেন?’’

তাঁদের শান্ত করতে দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষের মলম, ‘‘বিজেপি সর্বভারতীয় দল। সবার থেকে বড় দল। তাই প্রার্থী মনোনয়ন করতে একটু দেরি হচ্ছে। তোমরা আপাতত জনসংযোগ বাড়িযে যাও। প্রার্থীর নাম ফাঁকা রেখে দেওয়াল লিখন সেরে ফেল। ঘোষণা হলেই ফাঁকা জায়গায় প্রার্থীর নাম লিখে দেবে।’’ তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভিজছে না।

বহরমপুরে দলের জেলা কার্যালয়েই কর্মীরা চা খেয়ে, খবরের কাগজ পড়ে, হাই তুলে সময় কাটাচ্ছেন। বিজেপির থানা স্তরের বেশ কিছু কার্যালয়ে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম নিয়ে কর্মীদের মধ্যে বাজি লড়ার প্রতিযোগিতা। কোথাও তাস, কোথাও দাবা, কোথায় ক্যারাম

খেলায় মগ্ন থেকে ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন তাঁরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ কর্মী বলেন, ‘‘প্রাক্তন মন্ত্রী হুমাযুন কবীর কোথায় লড়ছেন কেউ জানে না। তাঁর জন্য ঝাঁপাব কি না তা-ও বুঝছি না!’’

জিয়াগঞ্জের এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘ভোটের ভরা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে নিষ্কাম বসে থেকে বাত ধরে গেল!’’ এই অনিশ্চয়তায় দাওয়াই হাতড়াচ্ছেন নেতারা। ফাইল চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE