Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভোটের প্রচারে রমা-রূপালী, ‘ঘরবন্দি’ বিজেপি ও কংগ্রেস

জনসংযোগ-প্রচারে বাম এবং তৃণমূল প্রার্থীরা। তবে প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় ‘ঘরবন্দি’ই বিজেপি ও কংগ্রেস।

প্রচারে কৃষ্ণনগর লোকসভার সিপিএম প্রার্থী রমা বিশ্বাস ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার সিপিএম প্রার্থী মৃণালকান্তি বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র

প্রচারে কৃষ্ণনগর লোকসভার সিপিএম প্রার্থী রমা বিশ্বাস ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার সিপিএম প্রার্থী মৃণালকান্তি বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র

সম্রাট চন্দ ও সৌমিত্র সিকদার
রানাঘাট শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ১১:১৩
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে দ্বিতীয় রবিবার। এ দিনও চুটিয়ে জনসংযোগ এবং প্রচারের কাজ সারলেন বাম এবং তৃণমূল প্রার্থীরা। তবে প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় ‘ঘরবন্দি’ই থাকল বিজেপি ও কংগ্রেস।

রানাঘাট লোকসভায় বাম প্রার্থী রমা বিশ্বাস। রবিবার সকাল থেকে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের বাম প্রার্থী মৃণাল বিশ্বাসকে সঙ্গী করেই প্রচারে বার হন রমা। বিভিন্ন বুথে জনসংযোগের উপরেই জোর দিয়েছেন তাঁরা। এ দিন সকাল ১০ টা থেকে ময়ূরহাট, গাজনা, কৃষ্ণগঞ্জ-সহ কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার বিভিন্ন এলাকার বুথগুলিতে ঘুরে বিভিন্ন এলাকায় কর্মী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন দুই বাম প্রার্থী। বিকেল পর্যন্ত তাঁরা প্রায় এক ডজনের মতো বুথে এ রকম ছোট বৈঠক করেন। মাঝে গাজনায় দুপুরের খাওয়া সেরেছেন। বিকেলে মাজদিয়ায় একটি সভায় যোগ দেন দুই বাম প্রার্থী। রমা বলেন, “মানুষের থেকে ভাল সাড়া পাচ্ছি। সবার সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, তাঁরা চাইছেন তৃণমূলকে যে ভাবে হোক হারাতে হবে। এখন দেখছেন, বামেরাই পারবে। মানুষের এই মন্তব্য আমাদের কাছে একটা নতুন অভিজ্ঞতা।”

আবার এ দিন তৃণমূলের প্রার্থী রূপালী বিশ্বাস জোর দেন নানা এলাকায় রোড শো এবং কর্মিসভায়। বগুলা ২ পঞ্চায়েত এলাকা থেকে শুরু হয় মিছিল। বগুলা বাজার হয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘোরেন দুপুর পর্যন্ত। পরে ধানতলা বাজারের কাছে একটি কর্মিসভায় যান তিনি। তার পরে যান কেশাইপুরে। রূপালী বলেন, “আমার স্বামী যেমন মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। আমিও সেটাই করতে চাইছি। আমার পাশে থাকুন।”

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বগুলায় প্রচারে রূপালী বিশ্বাস।

তবে এখনও রানাঘাট লোকসভায় সে ভাবে প্রচারে নামাই হল না গেরুয়া শিবিরের। রবিবার বিকেল পর্যন্তও প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় দেওয়ালে প্রার্থীর নামটুকু লিখে উঠতে পারেনি তারা। নাম ছাড়াই দলীয় প্রতীক দিয়ে দেওয়াল লেখার কাজ সেরেছেন কর্মীরা। এতে কি প্রচারের প্রথম পর্বের দৌড়ে তাঁরা পিছিয়ে পড়লেন? বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দিব্যেন্দু ভৌমিক বলেন, “পিছিয়ে পড়িনি। আমাদের কর্মীরা প্রচারের মধ্যেই আছেন। দেওয়াল লেখার কাজ চলছে। মতুয়া সংগঠনকে নিয়ে আমরা সভা করছি। নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেই প্রার্থীকে নিয়ে প্রচার শুরু হয়ে যাবে।” কংগ্রেসও এখনও প্রচারে নামতে পারেনি। দেরির কারণে প্রচারে পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে তা মানছেন কংগ্রেস নেতারাও। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “দেরির কারণে পিছিয়ে তো পড়ছিই। আশা করছি, কালকের মধ্যে প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাবে।”

ছবিগুলি তুলেছেন সুদীপ ভট্টাচার্য ও প্রণব দেবনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE