Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কংগ্রেস নেতাকে মার, অভিযুক্ত বিধায়ক

বুধবার রাত ১০টা নাগাদ ধুলিয়ান ডাকবাংলো এলাকায় দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন খালেক। ভাসাই পাইকরের সাহেবনগর গ্রামের রাস্তা দিয়ে তিনি যাচ্ছিলেন। ওই এলাকার ইসলামপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি।

হাসপাতালে আহত কংগ্রেস নেতা। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালে আহত কংগ্রেস নেতা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ধুলিয়ান শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০২:১৩
Share: Save:

শমসেরগঞ্জে কংগ্রেসের এক অঞ্চল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিধায়ক এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। মহম্মদ আব্দুল খালেক নামে ওই কংগ্রেস নেতা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার সকালে শমসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, তাঁর ভাই-সহ মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রহৃত কংগ্রেস নেতার স্ত্রী আজমাতুন নেশা। পুলিশ অবশ্য এদিন রাত পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

বুধবার রাত ১০টা নাগাদ ধুলিয়ান ডাকবাংলো এলাকায় দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন খালেক। ভাসাই পাইকরের সাহেবনগর গ্রামের রাস্তা দিয়ে তিনি যাচ্ছিলেন। ওই এলাকার ইসলামপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। খালেকের অভিযোগ, “সাহেবনগরের কাছে একটি গাড়িতে থাকা জনাকয়েক দুষ্কৃতী আমার মোটরবাইক আটকায়। এরপর ওরা আমায় মারধর শুরু করল। ওদের হাতে ছিল লোহার রড, লাঠি, পিস্তল। প্রচণ্ড মারে আমি রাস্তায় লুটিয়ে পড়ি। আমার চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসেন। তখনই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় পিস্তল দেখিয়ে ওরা প্রাণে মেরে ফেলার শাসানিও দিয়ে গিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক বার আক্রান্ত হয়েছেন খালেক। প্রতিবারই পুলিশের হস্তক্ষেপে রক্ষা পান তিনি। খালেক বলেন, “বিভিন্ন সভায় আমায় প্রাণে মারার হুমকি দেন তৃণমূলের বিধায়ক। কালকের হামলা হয়েছে ওঁরই নির্দেশে।” শমসেরগঞ্জের ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, “শমসেরগঞ্জে বুথ দখল করে ভোট লুঠের চেষ্টায় ছিল তৃণমূলের দলবল। খালেক-সহ কয়েকজন এর বিরুদ্ধেই এলাকায় জনমত তৈরি করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় তৃণমূলের লোকজন রিগিং করতে পারেনি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন। তাতেই ওরা ভয় পাচ্ছে।’’

মারধর-সহ সব অভিযোগই অবশ্য অস্বীকার করেছেন শমসেরগঞ্জের তৃণমুল বিধায়ক আমিরুল। তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ। ওই কংগ্রেস নেতা ৩০ বছর সিপিএমে ছিলেন। খুনের দায়ে জেলও খেটেছেন। তাঁর সন্ত্রাসেই এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। বাইকে

মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরার সময় কাউকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। সেই নিয়েই দু’পক্ষের গোলমাল হয়েছে বলে শুনেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Violence TMC Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE