এমনই অবস্থা হয় অ্যাম্বুল্যান্সের। —নিজস্ব চিত্র
রোগী নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ছুটছিল কলকাতার দিকে। অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে বুকের ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলেন নূর আলম (২৫) নামে এক যুবক। রোগীর আত্মীয়রা অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে বার বার গাড়ি ধীরে চালানোর কথা বলছিলেন।
কিন্তু, সে সাবধানবাণী কাজে আসেনি। একটি দাঁড়িয়ে থাকা লরিতে তীব্র গতিতে ধাক্কা মারে অ্যাম্বুল্যান্সটি। আর তাতেই মৃত্যু হয় লরির খালাসি সহিদুল শেখ (২০)-এর। মারা যান নূর আলমের এক আত্মীয় শাহজামাল হক (৫০)। তিন জনেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ নূর ইসলাম-সহ সাতজন যাত্রী নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি বহরমপুর মেডিকেল কলেজ থেকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে যাচ্ছিল। চাকদহের সিংহের বাগান এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি বিকল লরি সারানো হচ্ছিল। আর তার তদারকি করছিলেন লরির খালাসি সহিদুল। অ্যাম্বুল্যান্সটি লরির পিছনে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় শাহজামাল ও সহিদুল।
অ্যাম্বুল্যান্সের চালক-সহ বাকিদের কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় নূরের। নূর এবং শাহজামালের বাড়ি ভগবানগোলা। সহিদুল রেজিনগরের বাসিন্দা।
আহতেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে বার বার গাড়ি ধীরে চালাতে বলেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy