মারে আহত দেবরাজ। নিজস্ব চিত্র
বাড়ি থেকে পালিয়েছেন প্রেমিক-প্রেমিকা। রাগ গিয়ে পড়ল প্রেমিকের বন্ধুর উপর। হয়রান প্রেমিকার বাবার হাতে উত্তম-মধ্যম খেলেন বেচারা বন্ধু। রুপোলি পর্দার অতি পরিচিত এই দৃশ্যই শেষে দেখা গেল রানাঘাটের আঁইশতলা রামনগর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা নবনীতা দেবনাথ বাড়ি থেকে পালিয়ে গৌরব দেবনাথ নামে এক তরুণের সঙ্গে গিয়েছেন বলে সন্দেহ নবনীতার বাবার। এ জন্য তিনি ও তাঁর দোকানের কর্মচারীরা তরুণের এক বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত ওই তরুণ দেবরাজ দেবনাথ ওরফে রাজার স্ত্রীয়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। রাজাকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিন ধরে গৌরব এবং নবনীতাকে পাওয়া যাচ্ছে না। নবনীতার পরিবারের ধারণা, তাঁরা একসঙ্গে পালিয়েছেন। সেই রাগে নবনীতার বাবা বাবলু গৌরবের বন্ধু রাজাকে রবিবার রাতে মারধর করেন বলে অভিযোগ। রাজার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘আমরা বাজারে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় ধরে আমার স্বামীকে মারধর করা হয়। ওকে মারতে মারতে বাবলু দেবনাথের গোডাউনে নিয়ে যায়। তাকে লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে আঘাত করেছে ওরা। মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও ঠেলে ফেলে দিয়েছে ওরা।” নবনীতা ও গৌরব আগেও তিন বার পালিয়েছিলেন বলে দাবি প্রিয়াঙ্কার। বাবা-মা তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। ওই রাতেই পুলিশ নবনীতার বাবা বাবলু, মা মনিকা এবং দোকানের দুই কর্মচারী কৃষ্ণ দাস এবং বাপন দাসকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রাজাকে মারধরের বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা বাবলুর দোকানের সামনে জড়ো হন। তাঁদের বিক্ষোভে রানাঘাট-কৃষ্ণনগর বাইপাসে যানবাহন চলাচল কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আহত রাজাকে উদ্ধার করে তারাই হাসপাতালে পাঠায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy