এত দিন বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের প্রশ্নপত্রে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা হত। এ বার বহিরাগত প্রশ্নপত্র নয়, মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র করতে হবে স্কুলকেই। গত ৩০ অগস্ট রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ এ বিষয়ে প্রতিটি জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়েছে।
তবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সরাসরি স্কুলকে প্রশ্নপত্র তৈরির নির্দেশ না দিলেও বুঝিয়ে দেওয়া হয় স্কুলকে উচ্চ-মাধ্যমিকের টেস্ট প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে। প্রশ্ন তৈরির সেই নির্দেশিকাকে ঘিরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ভাগ হয়ে গিয়েছেন। এক পক্ষ বলছেন, জীবনের বড় পরীক্ষার আগে বাইরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিলে পড়ুয়াদের প্রস্তুতি ভাল হত। অন্য পক্ষের দাবি, বাইরের প্রশ্নপত্র অনেক সময় নিম্নমানের হয়। নিয়ম কানুন মেনে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হত না। তা সত্ত্বেও স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিংবা অধিকাংশ শিক্ষক যে সংগঠনের সদস্য, সাধারণত সেই সংগঠনের প্রশ্নপত্র নেওয়া হত বলেও অভিযোগ। ফলে প্রশ্নের মান নিয়ে অনেক সময় চিন্তা করত না বিভিন্ন স্কুল-কর্তৃপক্ষ। নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি(এবিটিএ) মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র নিয়মিত করে থাকে। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতার আসার পর তাঁদের সংগঠন কখনও নাম দিয়ে, কখনও বেনামে প্রশ্নপত্র তৈরি করছে। যদিও ওয়েস্টবেঙ্গল তৃণমূল সেকেন্ডারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি শেখ ফুরকানের দাবি, “তাঁদের সংগঠন প্রশ্নপত্র তৈরি করেনি। অন্য সংগঠন করত। তাতে কিছু সমস্যা হত।’’ এবিটিএ জেলা সম্পাদক দুলাল দত্ত বলেন, “শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র করলে আপত্তি নেই। স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকে অভাব আছে। তাই প্রশ্ন কারা করবেন?” লালবাগের নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশন প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলম বলছেন, “এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নের গুণগত মান ভাল হবে।” লালবাগ সিংহি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব ঘোষ বলছেন, “টেস্ট পরীক্ষা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের মহড়া। বাইরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলে ছাত্রছাত্রী বড় পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি যাচাই করতে পারত।” একই মত বহরমপুরের সৈয়দাবাদ মণীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক জসিমউদ্দিন আহমেদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy