প্রতীকী ছবি।
এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃত মহিলার নাম চঞ্চলা মণ্ডল (২১)। পণের দাবিতে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি মৃতের পরিবারের।
শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ভগবানগোলা থানার দীঘারপুল এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরেই স্বামী বীজপতি মণ্ডল ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার পরেই চঞ্চলার বাবা লালু মণ্ডল থানায় জামাই ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চঞ্চলা ও বীজপতি ভগবানগোলার দীঘারপুলের বাসিন্দা। চঞ্চলার বাড়ির কয়েকটা বাড়ির পরই বীজপতির বাড়ি। তিন বছর আগে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় এবং তারা জেরে দু’জনের বিয়েও হয়। পেশায় ইটভাটার দিনমজুর বীজপতি বিয়ের পরেই পণের দাবি তুলে চঞ্চলাকে মারধর করত বলে অভিযোগ। মাস খানেক থেকে ভাটায় কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল এবং প্রায় প্রতি দিনই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে চঞ্চলার উপরে অত্যাচার চালাত। শনিবার রাতে ফের মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে চঞ্চলাকে মারধর করছিল বীজপতি। সেই সময়ে চঞ্চলার চিৎকার শুনে ছুটে আসে পাড়া প্রতিবেশীরা ও চঞ্চলার বাড়ির লোকজন। চঞ্চলার বাবা লালু মণ্ডলের দাবি, আমি এসে দেখি চঞ্চলার গলা টিপে ধরে আছে জামাই। পরে বাড়ির পিছন দিক দিয়ে পালিয়ে যায় সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চঞ্চলাকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কানাপুকুর হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়। কিন্তু বহরমপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ভগবানগোলাতেই মৃত্যু হয় চঞ্চলার। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় ভগবানগোলা থানার পুলিশ।
লালু মণ্ডল বলছেন, ‘‘পণের টাকার জন্য মেয়ের উপরে অত্যাচার চালাত। মাস খানেক থেকে কাজ বন্ধ করে জামাই টাকার জন্য মেয়ের উপরে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy