—প্রতীকী চিত্র।
অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল এক তরুণী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে। শনিবার হাঁসখালির সাহাপুরের জখম ওই শিক্ষককে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই তরুণী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় তরুণীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ওই তরুণীর। সে কথা জানাজানি হওয়ার পরে আপত্তি তোলে যুবকের পরিবার। তার পর দুই পরিবারের অশান্তি শুরু হয়। বছর চারেক আগে ওই তরুণী ওই যুবকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। জামিনও পেয়ে যান ওই যুবক। তার পর থেকে ওই যুবক থাকতেন রানাঘাটে। মাস ছয়েক আগে তিনি মালদহে একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়ে চলে যান। ফেব্রুয়ারি মাসে ওই তরুণী রানাঘাট আদালতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। তরুণীর প্রথম থেকেই দাবি ছিল ওই যুবককে বিয়ে করতে হবে।
শনিবার বিকেলে অভিযুক্ত ওই যুবকের বাবা বগুলা থেকে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তার উপরেই ওই তরুণীর বাড়ি। অভিযোগ, ওই বৃদ্ধকে দেখতে পেয়ে তাঁর উপরে চড়াও হন ওই তরুণী ও তাঁর মা। বৃদ্ধের অভিযোগ, ‘‘আগেও এক দিন আমাকে মেরেছে মেয়েটা। এ দিন মা আর মেয়েকে দেখেই আমি একটা ঘরে ঢুকে যাই। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি। ওরা আমাকে মারধর করে।”
তরুণীর দাবি, ‘‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সঙ্গে মেলামেশা করেছে। এখন বলছে বিয়ে করবে না। কিছু বলতে গেলেই চড়াও হচ্ছে। রবিবারেও আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। মাকে মেরেছে। আর আমরা ওই বৃদ্ধকে মারিনি। তিনিই আমাকে মেরেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy