Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

মায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখেই আত্মঘাতী ছেলে!

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জাতীয় বিদ্যালয়ের (বালক) মিড-ডে মিল রান্নায় যুক্ত মায়া এ দিন স্কুলে যাননি।

মায়ারানি ও নিরঞ্জন। নিজস্ব চিত্র

মায়ারানি ও নিরঞ্জন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১০
Share: Save:

মায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখার কিছুক্ষণের মধ্যে দড়ির ফাঁসে ঝুলতে দেখা গেল ছেলের দেহও।

শুক্রবার দুপুরে নবদ্বীপ প্রাচীন মায়াপুরে জাতীয় বিদ্যালয় দ্বিতীয় লেনে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন মায়ারানি হালদার (৫৫) এবং নিরঞ্জন হালদার (২৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জাতীয় বিদ্যালয়ের (বালক) মিড-ডে মিল রান্নায় যুক্ত মায়া এ দিন স্কুলে যাননি। বাড়ির পাশেই স্কুল। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ সেখান থেকে খোঁজ নিতে এসে লোকজন দেখেন, তাঁর ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। টিনের দরজার ফাঁক দিয়ে তাঁর ঝুলন্ত দেহ নজরে আসে। ওই সময়ে পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন মায়ারানির ছোট ছেলে নিরঞ্জন। মোটরবাইক মেরামতির ছোট একটি গ্যারাজ আছে তাঁর। হইচই শুনে তিনি বেরিয়ে আসেন। এর পর হই-হট্টগোলের মধ্যে তিনি কোথায় গেলেন, কেউ নজর করেনি। বেশ কিছুক্ষণ পরে যখন তাঁর খোঁজ পড়ে, দেখা যায় তাঁর ঘরের দরজাও ভিতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ভেঙে ফেলা হয় দরজা। দেখা যায়, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে তাঁর নিথর দেহ। তাঁর বড়দা পাঁচুগোপাল বলেন, “তাড়াতাড়ি গিয়ে ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে যাই। চিকিৎসকেরা জানান, মারা গিয়েছে।”

মায়ারানির বাড়িতে শোকার্ত পরিজন। নিজস্ব চিত্র

কেন এমন ঘটনা?

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মায়ারানির তিন ছেলে। এক বাড়িতে থাকলেও হাঁড়ি আলাদা। মায়া রাঁধুনির কাজে করে ভালই উপায় করতেন। বছর চারেক আগে নিরঞ্জনের বিয়ে হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের মেয়ে বাসনার সঙ্গে। মাস তিনেক যাবত তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। নিরঞ্জনের সঙ্গে বাসনা ও মায়ারানির বনিবনা হচ্ছিল না। কিছু দিন আগে বাসনা বাপের বাড়ি চলে যান। মায়াও তাঁর সঙ্গেই গিয়ে ছিলেন। সেখানে দিন সাতেক থাকার পরে তিনি ফিরে আসেন। কিন্তু বাসনা ফেরেননি। এই সব নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে একটা টানাপড়েন চলছিল।

মায়ারানির ভাই নন্দ হালদার বলেন, “আজ সকালেও দিদি আর ভাগ্নে দু’জনেই স্বাভাবিক ছিল। তেমন কোনও ঝগড়াঝাটিও হয়নি। তবু হঠাৎ করে কী যে ঘটে গেল, আমরা কিছু বুঝতেই পারছি না।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suicide Mother Son
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE