গুজবের জেরে লোকজনের হাতে মার খেয়ে জখম যুবকের মৃত্যু হল। দিন দশেক আগের ওই ঘটনায় জখম সমীর দাস কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার রাতে সেখানে নদিয়ার হবিবপুরের বাসিন্দা বছর বত্রিশের সমীরবাবু মারা যান।
কালনায় গাছে কীটনাশক ছড়াতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন হবিবপুরের কয়েকজন বাসিন্দা। দিন দশেক আগের ওই ঘটনায় অনিল বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। জখম হন আরও কয়েকজন। তার মধ্যে সমীরবাবুর অবস্থা ছিল সঙ্কটজনক। যমে-মানুষে টানাটানির পর এ দিন তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় হবিবপুরের রাঘবপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাবা, মা স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে সমীরবাবুর ছোট্ট সংসার ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, “কী অপরাধ ছিল নিরীহ এই মানুষগুলোর। পেটের তাগিদে ওঁরা সেখানে কাজে গিয়েছিলেন। পিটিয়ে মারা হল ওঁদের।’’ অনিলবাবুর মৃত্যুর প্রতিবাদে এলাকার মানুষ সে দিন গর্জে উঠেছিলেন। দোষীদের শাস্তি এবং হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে হবিবপুর মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ চলার সময় খানিকটা দূরে কালনাঘাট রানাঘাটগামী একটি বেসরকারি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা। ওই ঘটনায় রানাঘাট-১ নম্বর ব্লক বিজেপি সভাপতি তাপস রায়কে ধরে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy