বালিকা ধর্ষণের অভিযোগে এক জন ধরা পড়েছে। আর এক জন বালিকাকে ধর্যণ করেও পগার পার!
ধরা যে পড়েছে, তার নাম রাজু বল্লভ। কৃষ্ণনগরে জেলা পুলিশ সুপারের দফতরের কাছে কোর্টপাড়ায় তার বাড়ি। শনিবার দুপুরে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ দিন হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাঁসখালির গাঁড়াপোতায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রণয় রায় অবশ্য এখনও অধরাই। প্রণয়কে ধরার দাবিতে এ দিন সকালে তার তালা দেওয়া বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় জনতা। বগুলা-গাজনা সড়ক দীর্ঘ সময় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে।
কৃষ্ণনগরের বছর চল্লিশের রাজু পাকা কোনও কাজ করত না। মাঝে-মধ্যে পাইস হোটেলে খাবার দেওয়ার কাজ করত সে। শুক্রবার বিকেলে নিজের বাল্যবন্ধুর মেয়েকে সাইকেলে চাপিয়ে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল সে। হোলি ফ্যামিলি প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়া মেয়েটি পাড়ার মাঠে খেলছিল। অভিযোগ, সাইকেলে তুলে পাড়াতেই নির্জন ধোপার পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে মত্ত রাজু।
বালিকাটির বাবা বিদেশে রান্নার কাজ করেন। বাড়ি ফিরে ঠাকুমাকে সে সব জানায়। তার পরেই এলাকার লোকজন বছর চল্লিশের রাজুকে ধরে ফেলেন। মেয়েটির কথায়, “কাকুর বাড়িতে দোলনা আছে। আগেও এক দিন দোলনা চড়ানোর নাম করে নিয়ে গিয়ে এমনটা করেছিল।” তার মা বলেন, “আমার স্বামীর ছোটবেলার বন্ধু ওই লোকটা। তাকেও বিশ্বাস করা যাবে না? ” হাঁসখালির গাঁড়াপোতায় লালসার শিকার হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তার সামান্য মানসিক সমস্যা আছে। অভিযুক্ত প্রণয় তার দিদিকে পড়াতে বাড়িতে আসত। তাই বালিকাটি তাকে যথেষ্ট বিশ্বাস করত। আর সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই সে একাধিক বার তাকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
বালিকাটির ঠাকুমার অভিযোগ, “ওদের স্কুলের পাশে একটা দোতলা দোকানঘর তৈরি হচ্ছে। স্কুলে যাতায়াতের পথে বা টিফিনের সময়ে ওই দোতলায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।” গত বুধবার বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ও পুলিশকে বলে মেয়েটির পরিবার। তারই মধ্যে প্রণয় আর তার বাড়ির সকলে বাড়িতে তালা পালায়। পুলিশ জানায়, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
একের পর এক এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান রিনা মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভাবতে কষ্ট হচ্ছে যে একটা শিশু তার ঘনিষ্ঠ লোকেদের কাছেও নিরাপদ নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy