প্রতীকী ছবি।
পড়শি এক মহিলাকে খুন করে থানায় এসে নিজে আত্মসমর্পণ করে এক যুবক। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রঘুনাথগঞ্জ থানা চত্বরে হুলুস্থূল বেধে যায়।
থানার ডিউটি অফিসার তখন ব্যস্ত কেস ডায়েরি লিখতে। সিভিক ভলান্টিয়ারেরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন। এক জন হোমগার্ড বিড়িতে আগুন ধরাবেন পকেট হাতড়ে দেশলাই সবে বের করেছেন, এমন সময়ে রক্তমাখা জামাকাপড় পরনের এক যুবককে হনহন করে থানার ভেতরে ঢুকতে দেখে তাঁর সুখটান দেওয়া মাথায় ওঠে।
যুবক চিৎকার করে—‘আমি খুন করেছি স্যর। আমাকে গ্রেফতার করুন।’ বৃহস্পতিবার বিকেলে থানা চত্বরে আচমকা ওই ঘটনায় ধুন্ধুমার বেধে যায়। ওই যুবকের খুন করার কথা শুনে চোখ কপালে উঠেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের। ততক্ষণে ধরে ফেলেছেন থানার সিভিক কর্মীরা। পরে পুলিশের জেরার মুখে ওই যুবক জানায়, সে বাড়িতে ঢুকে প্রতিবেশী এক মহিলাকে চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। এর পরেই পুলিশ বিশু শেখ নামে ওই যুবককে
গ্রেফতার করে। রঘুনাথগঞ্জ থানার কাঁকুড়িয়াতে ওই খুনের ঘটনার পরেই গ্রামবাসীরা বিশু শেখের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রায় আড়াই মাইল দূরে রঘুনাথগঞ্জ থানায় ঢুকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বিশু।
পুলিশ জানায় মৃতের নাম ছবি বেওয়া ( ৩৪)। সাত বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে কাঁকুড়িয়ার মিনি মার্কেট পাড়ায় বাস করতেন ওই মহিলা। দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে ১১ বছরের তায়েবা খাতুন থাকত মাঠপাড়ায় তার মামার বাড়িতে। ছোট ছেলে সুনীল শেখকে নিয়ে মিনি মার্কেট পাড়ায় এক ঘরে থাকতেন ছবি বেওয়া। বিড়ি বেঁধে সংসার চালাতেন তিনি। পুলিশ জানায়, পড়শি বিশু শেখ পেশায় রাজমিস্ত্রী। গ্রামেরই মাঠপাড়ায় সপরিবারের বাস করত। ঘটনার সময়ে ছবি বাড়িতে একাই ছিলেন। তখনই বিশু ঘরে ঢুকে চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছবির।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের সন্দেহ, মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল অভিযুক্ত যুবক। ওই মহিলা এখন তাকে ছেড়ে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই আক্রোশে এই খুনের ঘটনা।
জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মহিলাকে খুনের ঘটনায় পুলিশ বিশু শেখকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy