Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

বাড়িতে ফেরার পরে ‘পজ়িটিভ’

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বছর সাতচল্লিশের ওই ব্যক্তি কলকাতায় পেঁয়াজ-রসুনের ব্যবসা করতেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৯ শে জুন তিনি ফিরে আসেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তেহট্ট শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২০ ০৩:৪৮
Share: Save:

করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই নিভৃতবাস কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। শনিবার রাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। কিন্তু তার আগেই তাঁর পরিবারের লোকজন এলাকায় বহু মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। প্রশাসনের তরফে এলাকাকে ‘কনটেনমেন্ট জ়োন’ ঘোষণার পরেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে তেহট্ট-১ ব্লকের বেতাই ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতাই দক্ষিণ জিতপুর খড়েরমাঠ গ্রামে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বছর সাতচল্লিশের ওই ব্যক্তি কলকাতায় পেঁয়াজ-রসুনের ব্যবসা করতেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৯ শে জুন তিনি ফিরে আসেন। দেবনাথপুর শরৎচন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিভৃতাবাসে তাঁকে রাখা হয়েছিল। গত ২ জুলাই তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই তিনি বাড়ি চলে যান। বাড়িতে ছিলেন তাঁর বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও তিন সন্তান। রবিবার দুপুরে তাঁদের সকলকেই আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শনিবার রাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরে রাতেই স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা আক্রান্ত ব্যক্তিকে কৃষ্ণনগরে গ্লোকাল কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পর থেকেই আতঙ্কে গ্রামের পথ সুনসান। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মী জানান, লালরসের নমুনা সংগ্রহের পরের দিনই সম্ভবত ওই ব্যক্তি বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। প্রতিবেশী এক মহিলার দাবি, আক্রান্ত সে ভাবে কারও সঙ্গে মেলামেশা না করলেও পরিবারের অন্য সদস্যেরা সারা গ্রাম চষে বেরিয়েছেন।

বেতাই ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিত পোদ্দার জানান, ওই ব্যক্তির বাড়ির চত্বর ঘিরে বাঁশের ঘেরাটোপ দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারের সদস্যদের মারফত গ্রামের অন্য কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন কি না, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। তেহট্ট ১-এর বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক বলেন, “রিপোর্ট আসার আগেই ভদ্রলোক বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। পরিবারের পাঁচ জনকে পরীক্ষার জন্য আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।’’ কিন্তু অসুস্থ এক জন নিভৃতবাস কেন্দ্র থেকে পালিয়ে গেলেন কী করে? যদি বা গিয়েও থাকেন, খোঁজ করে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হল না কেন? কী করে বহাল তবিয়তে বাড়িতে আর সকলের সঙ্গে থাকতে লাগলেন? কোনও নজরদারি নেই? বিডিও বলেন. “কিছু লক্ষণ থাকায় উনি কলকাতা থেকে ফিরে নিজেই কোয়রান্টিন সেন্টারে এসেছিলেন। রিপোর্ট আসার আগে চলে যান। ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ওঁকে বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE