Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
বাবা বাঙালি, মা গারো উপজাতির, মেয়েবেলা কেটেছে গারো পাহাড়ের কোলে

মেঘালয় দুহিতার হাতে চাকদহের পঞ্চায়েত

বছর পঁচিশ আগে বিয়ে করে চাকদহের বালিয়ায় সংসার করতে চলে এসেছিলেন মেঘালয়ের বাসিন্দা রিনা হালদার। ক্রমে  এখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। সংসার সামলেছেন। স্বামীকে সাহায্য করেছেন। ভাল বেহালা বাদক বলেও এলাকায় তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে। এবার তিনি  পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।

পঞ্চায়েত প্রধানের পদে শপথ গ্রহণের পরে রিনা। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত প্রধানের পদে শপথ গ্রহণের পরে রিনা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৫১
Share: Save:

বছর পঁচিশ আগে বিয়ে করে চাকদহের বালিয়ায় সংসার করতে চলে এসেছিলেন মেঘালয়ের বাসিন্দা রিনা হালদার। ক্রমে এখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। সংসার সামলেছেন। স্বামীকে সাহায্য করেছেন। ভাল বেহালা বাদক বলেও এলাকায় তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে। এবার তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।

রিনার স্বামী হরপ্রসাদ হালদার বালিয়া হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক। তিনি চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির শাসক দলের প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমান সদস্য। হরপ্রসাদবাবু বলেন, “ওকে ভোটে দাঁড় করানোর ইচ্ছা ছিল না। এলাকার মানুষের দাবি মেনেই লড়াই করতে হয়েছিল। প্রকাশ্যে রাজনীতি না করলেও দীর্ঘ দিন আমায় বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছে। আমার বিশ্বাস, আমার স্ত্রী মানুষের জন্য কাজ করবে। আমার মতোই মানুষের পাশে থাকবে।”

সদ্য-সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাকদহ ব্লকের শিলিন্দা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ নম্বর আসন থেকে রিনা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দলের মিতা রাহাকে চারশোর বেশি ভোটে পরাজিত করে জয়ী হন। বৃহস্পতিবার শপথ নিয়ে রিনা বলেন, “মানুষ আমায় নির্বাচিত করেছেন। আমি তাঁদের পাশে থাকব। এলাকার উন্নয়নের চেষ্টা করব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ভাবনা-চিন্তার বাস্তব রূপ দেওয়ার চেষ্টা করব।”

মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পাহাড় ভূরার বাসিন্দা রিনা। লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে তিনি সেখানকার একটি কলেজে শিক্ষিকার কাজ শুরু করেছিলেন। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় নদিয়ার বাসিন্দা হরপ্রসাদের। পরিচয় থেকে সম্পর্ক গড়ায় ভালবাসায় এবং তার পর বিয়েতে। রিনা চাকরি ছেড়ে স্বামীর হাত ধরে চলে আসেন বাংলায়। এত দিন ঘরের কাজ সামলেছেন। স্বামীকে বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করেছেন। সময় পেলে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানে বেহালা বাজিয়েছেন। এ দিন থেকে তিনি এক নতুন জীবনে পা রাখলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE