Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Crime

পঞ্চায়েত সদস্যের ভাইকে কোপানোর অভিযোগ

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে শান্তিপুর থানার নবলা পঞ্চায়েতের প্রমোদপল্লি এলাকা দিয়ে দুই সঙ্গী নিয়ে মোটরবাইকে চেপে যাচ্ছিলেন এক যুবক।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ০৫:৫৩
Share: Save:

তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের ভাইকে কোপানোর অভিযোগ উঠল। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে শান্তিপুর থানার প্রমোদপল্লি এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে শান্তিপুর থানার নবলা পঞ্চায়েতের প্রমোদপল্লি এলাকা দিয়ে দুই সঙ্গী নিয়ে মোটরবাইকে চেপে যাচ্ছিলেন এক যুবক। পথে একটি হাম্পে বাইক নিয়ে পড়ে যান তিনি। সেখানেই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য চন্দ্রিমা মণ্ডলের বাড়ি। দুর্ঘটনার পর হাম্প তৈরি করা নিয়ে চন্দ্রিমার ভাই দেবব্রতের সঙ্গে বচসা শুরু হয় ওই যুবকের। অভিযোগ সেই সময় সে লোহার কোনও ভারী জিনিস নিয়ে দেবব্রতর মাথায় আঘাত করে। গুরুতর জখম হয় দেবব্রত। এর পরেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। দেবব্রতকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার পরেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত এবং তার সঙ্গীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিরাট পুলিশবাহিনী এবং দমকল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। জখম দেবব্রত তাঁদের দলের কর্মী বলে জানিয়েছে তৃণমূল। ঘটনার পর তাঁর বাড়িতে যান ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তপন সরকার, নবলা পঞ্চায়েতের প্রধান সুদীপ প্রামাণিক-সহ অন্যরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবক ২০১৮ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী তৃণমূলের প্রার্থী হন। তিনি হেরে যান নির্দল প্রার্থী চন্দ্রিমার কাছে। চন্দ্রিমা পরে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁরই ভাই দেবব্রতকে এ দিন মারা হয়। তৃণমূলের দাবি, পুরনো আক্রোশেই এই হামলা।

শান্তিপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তপন সরকার বলেন, “এই ছেলেটি এক সময়ে আমাদের দলে থাকলেও পরে নানা অসামাজিক কাজের অভিযোগ আসায় তাকে বের করে দেওয়া হয়। এখন সে বিজেপির সাথে থাকে। ওর স্ত্রী ভোটে হেরে যায় দেবব্রতর দিদির কাছে। পুরনো আক্রোশেই এই হামলা হয়েছে।”

যদিও অভিযুক্তের বিজেপি যোগের কথা অস্বীকার করেছে বিজেপি। রানাঘাটের সাংসদ বিজেপির জগন্নাথ সরকার বলেন, “এই ছেলেটা বিজেপি করে না। ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা নিইনি। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।” পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE