দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে জনতার হাতে বেধড়ক মার খেল এক সিভিক ভলান্টিয়ার। বৃহস্পতিবার রাতে তাহেরপুর আনন্দনগরের ঘটনা। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম বিপ্লব রায়। তার দাদা এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর ভাই তৃণমূলের কর্মী বলেই জোটের কর্মীরা বিনা দোষে তাঁর ভাইকে মারধর করেছে। অভিযুক্ত বিপ্লব রায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত চলছে।
দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা প্রাক্তন সেনাকর্মী। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজের সুবাদে বর্তমানে তিনি বাইরে থাকেন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিপ্লব দীর্ঘদিন ধরেই ওই স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করত। প্রতিবাদ জানিয়ে লাভ হয়নি। সে হুমকি দিত যে, তার দাদা তৃণমূলের নেতা। সে নিজে পুলিশ। ফলে প্রতিবাদ জানিয়ে কোনও লাভ হবে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির বাইরে কলপাড়ে মুখ-হাত ধুচ্ছিল ওই কিশোরী। একা পেয়ে সেই সময়ই মেয়েটির শ্লীলতাহানি করে বিপ্লব। তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। চিৎকার করতে শুরু করে কিশোরী। তার চিৎকারে ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। পালানোর চেষ্টা করেও ধরা পড়ে যায় বিপ্লব। তার পর শুরু হয় গণধোলাই। পরে তার বাড়ির লোকেরা তাকে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy