অধীর চৌধুরী
রবিবার সকালে বহরমপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে স্থানীয় কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে নিমন্ত্রণ জানিয়ে এত দিনের চেনা রেওয়াজ থেকে সরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি ফিরে যেতেই চেনা গতে বিরোধী-বয়কট শুরু হল ফের! এমনই দাবি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। দিন কয়েক আগে, বহরমপুরে প্রসাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে বৈঠকে আহ্বান জানানো হয়েছিল বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে। সেই সৌহার্দ্যের রেশ কাটতে না কাটতেই উল্টো পথে হাটতে শুরু করল জেলা প্রশাসন।
রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ আয়োজিত ৪১তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়েছে বহরমপুরের ব্যারাক স্কোয়্যারে। সেই প্রতিযোগিতায় শাসকদলের দুই সাংসদ ডাক পেলেও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী ডাক পাননি। আমন্ত্রণপত্রেও তাঁর নাম ছিল না। রবিবার দুপুরে জেলা কংগ্রেস অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে ডেকে সে কথা জানান, জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস।
তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে অধীর চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু দিল্লিতে ব্যস্ত থাকায় সে দিনের বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। বৈঠকের সাফল্য চেয়ে অধীর চৌধুরী জেলা প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। অথচ, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ পত্রে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের নাম থাকলেও বহরমপুরের সাংসদের নাম নেই।’’ কংগ্রেসের অভিযোগ অবশ্য মানছেন না জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) তথা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নৃপেন সিংহের অমতা আমতা জবাব, ‘‘অধীরবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’’ কার্ডে নাম নেই কেন? বলছেন, ‘‘ ‘‘সবার নাম কি আমন্ত্রণপত্রে দেওয়া যায়!’’ এদিনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল। তিনি বলছেন, ‘‘ওঁকে (অধীর চৌধুরী) মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকেও ডাকা হয়েছিল, আসেননি। এ দিনেরও অনুষ্ঠানেও ডাকা হয়েছিল। শিশুদের খেলা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy