বিজেপির সমর্থকদের রাস্তা অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
পুরসভার সামনে রাস্তার উপরেই চলছিল বিজেপি’র বিক্ষোভ সভা। অন্য দিকে ওই রাস্তা দিয়ে ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসকে সামনে রেখে মিছিল আসছিল শাসকদলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্রপরিষদের।
মঞ্চের সামনে মিছিল আসতেই গেরুয়া শিবির থেকে জয় শ্রীরাম-সহ দলীয় স্লোগান শুরু হতেই বিপত্তি বাধে। পাল্টা তৃণমূল ছাত্রপরিষদ কর্মীরা মিছিল থেকে জয়হিন্দ, জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে। তা নিয়ে পুরসভার সামনের রাস্তায় দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, ওই সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মিছিল থেকে বিজেপি’র অবস্থান স্থল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। বিজেপি’র দাবি, মঙ্গলবার বিকেলের ওই ঘটনায় দুই মহিলা-সহ চার বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
অন্য দিকে ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা বহরমপুর পুরসভার সামনের রাস্তা অবরোধ করেন। পরে অবশ্য বহরমপুর থানার পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেন।
বিজেপির জেলার সহ-সভাপতি শাখারভ সরকার বলছেন, ‘‘তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী এ দিন আমাদের বিক্ষোভ সভায় হামলা চালায়। তাতে আমাদের চার জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’’
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে শাখারভ বলেন, ‘‘আমাদের বিক্ষোভ সভা করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। তা হলে সেই রাস্তার তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনকে কি করে পুলিশ মিছিল করার অনুমতি দিল? এই ঘটনায় পুলিশও দায়ী।’’
তবে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ভীষ্মদেব কর্মকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমরা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই মিছিল করেছি। মিছিল থেকে বিজেপি’র বিক্ষোভ সভার হামলার প্রশ্ন নেই। ওরা প্রচারের আলোয় আসতে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’
যদিও বহরমপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, দুপুর দুটো পর্যন্ত বিক্ষোভসভার অনুমতি ছিল। ফলে তিনটের পরে অন্যদের মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভ সভা সময় মতো শেষ না হওয়ায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে মিছিলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখানে হামলার কোনও ঘটনাও অস্বীকার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, সামান্য উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy