Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বিড়ির ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে ‘ধূমপান নিষেধ’

হাসপাতালের সুপার দেবদাস সাহা বলেন, ‘‘মঙ্গলবারের ঘটনার পরে আরও নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। বিড়ি-সিগারেট নিয়ে যাতে রোগী হাসপাতালের ওয়ার্ডে না ঢোকেন সে বিষয়ে নিরাপত্তারক্ষী ও নার্সিং স্টাফদের নজর বাড়াতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে যাতে নেশার সামগ্রী বিক্রি না হয় তা দেখা হবে।’’

জরুরি বিভাগের সামনে সুখটানে ব্যস্ত এক যুবক। বুধবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে। নিজস্ব চিত্র।

জরুরি বিভাগের সামনে সুখটানে ব্যস্ত এক যুবক। বুধবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে। নিজস্ব চিত্র।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৮ ০১:২০
Share: Save:

হাসপাতালের দেওয়াল, করিডরে লেখা রয়েছে— ধূমপান নিষেধ! কিন্তু সেই নির্দেশও ঢাকা পড়ে যাচ্ছে বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায়।

অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নজরদারির অভাবেই লোকজন ধূমপান করেই চলেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের শয্যায় নাকে অক্সিজেনের নল থাকা অবস্থায় এক রোগী বিড়ি ধরিয়েছিলেন। আগুনের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল হাসপাতালে। অভিযোগ, শুধু ওই দিন নয়, কখনও রোগী, কখনও বা রোগীর বাড়ির লোকজন হাসপাতালের শৌচালয়ে ঢুকে ধূমপান করে। হাসপাতাল চত্বরে খাবারের দোকানেও মিলছে বিড়ি-সিগারেট। সেখান থেকে বিড়ি সিগারেট কিনে কেউ জরুরি বিভাগের সামনে, কেউ হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে সুখটান দিচ্ছেন।

হাসপাতালের সুপার দেবদাস সাহা বলেন, ‘‘মঙ্গলবারের ঘটনার পরে আরও নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। বিড়ি-সিগারেট নিয়ে যাতে রোগী হাসপাতালের ওয়ার্ডে না ঢোকেন সে বিষয়ে নিরাপত্তারক্ষী ও নার্সিং স্টাফদের নজর বাড়াতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে যাতে নেশার সামগ্রী বিক্রি না হয় তা দেখা হবে।’’

কান্দির গোকর্ণের মধুসূদন ঘোষের বিড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এ দিনও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিড়ি ধরানোর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘ওই রোগী অসুস্থ। এ দিনও শ্বাসকষ্টে ভুগতে দেখলাম। অজ্ঞতাবশত তিনি ভুল করেছিলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ তবে মঙ্গলবার কী ঘটেছিল তা দেখার জন্য শিশু বিভাগের প্রধান টি কে সাহার নেতৃত্বে চার জনের তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও নেশামুক্তি কেন্দ্র রয়েছে। ওই কেন্দ্রের মনোবিদ সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসা রোগী ও পরিবারের লোকজনকে নিয়ে নিয়মিত সচেচনতা শিবির করি। এ ছাড়াও হাসপাতালের কর্মীদেরও সচেতন করা হয়। তাঁরা আবার ওয়ার্ডের ভর্তি থাকা রোগীদের সচেতন করেন।’’ কিন্তু লোকজন কি আদৌ সচেতন হচ্ছেন?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cigarette No Smoking Board Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE