Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কাটমানি ফেরত চেয়ে লিফলেট

কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের তালদহ-মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত।

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৯ ০৩:১১
Share: Save:

কাটমানি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলে বেনামি লিফলেট ছড়ানো হল কৃষ্ণগঞ্জে। স্থানীয় সূত্রের খবর, সেখানে পুণ্যগঞ্জ এলাকায় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল আচার্য ও অঞ্চল সভাপতি বিশু রায়ের নাম করে এ রকম লিফলেট ছড়ানো হয়েছে।

তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, গোষ্ঠী কোন্দলে জেরে দলেরই একটি অংশ এই ঘটনার ঘটিয়েছে। আবার আর এক পক্ষের দাবি, এর পিছনে আছে বিজেপি। তবে যারাই লিফলেট ছড়াক, এই লিফলেট নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের নেতারা।

কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের তালদহ-মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। পুণ্যগঞ্জ এলাকা থেকে পরপর দু’বার পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছেন গোপাল আচার্য। গত পঞ্চায়েত ভোটে এই ব্লকে কোন্দলের জেরে অনেকেই টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। গোপাল তাঁদেরই এক জন। যদিও তিনি এ বার পরাজিত হয়েছেন। আর, বিশু রায় তৃণমূলের ৫০ নম্বর বুথ কমিটির সভাপতি তথা তৃণমূলের স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য লিপি সরকারের ভাই।

ওই দু’জনের বিরোধী পক্ষের অভিযোগ, বিগত বোর্ডে গোপাল আর বিশুর হাতে বিপুল ক্ষমতা ছিল। সেই সময়ে তাঁরা নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে গৃহনির্মাণের মতো নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে তাঁদের ‘কাটমানি’ দিতে হত। এত দিন তাঁদের কেউ কিছু বলার সাহস দেখাননি। এ বার বিজেপি ওই এলাকায় ভাল ফল করেছে। তৃণমূল নেত্রীও ‘কাটমানি’ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এই ধরনের লিফলেট পড়ছে বলে অনেকের দাবি।

তবে গোপাল পাল্টা দাবি করেন, “আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি কোনও দিন কারও কাছ থেকে একটা পয়সা নিইনি। জনসেবা করার জন্যই আমি রাজনীতি করি।” কারা এই চক্রান্ত করেছে? গোপাল বলেন, “কারা করেছে তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। সেটাই বার করার চেষ্টা করছি।” বারবার চেষ্টা করেও বিশু রায়কে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর দিদি, জেলা পরিষদ সদস্য লিপি সরকারও দাবি করেন, “এক জন সৎ মানুষকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। ওরা যদি সত্যি কারও কাছ থেকে টাকা নিত, তা হলে কেউ রাতের অন্ধকারে লিফলেট না ছড়িয়ে সরাসরি এসে টাকা চাইত।” কারা এই কাজ করে থাকতে পারে তা অবশ্য তিনিও হলফ করে বলতে পারেননি। তাঁর কথায়, “এটা বিজেপি করেছে না আমাদেরই দলের কেউ করেছে, বুঝতে পারছি না।” কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা, বিজেপির উজ্জ্বল ঘোষ পাল্টা বলেন, “এখন এ সব বলে লাভ নেই। মানুষ প্রাপ্য বুঝে নিতে চাইছে। কাটমানির টাকা তাঁরা আদায় করেই ছাড়বেন।”

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Krishnaganj Bribe TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE