রাস্তায় বাস নেই। তাই বহরমপুরে ভরসা সেই অটোই। নিজস্ব চিত্র
আড়াই মাস পরে লকডাউনের পর্দা উঠে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে জেলা। মুখে মাস্ক পরা মানুষের সতর্কতার আড়ালে উদ্বেগ থাকলেও বাস-টোটোর অপেক্ষায় রাস্তায় তাঁদের ভিড় অবশ্য কম নয়।
আড়াই মাসের ধাক্কা সামলে বেসরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে বটে, কিন্তু সংখ্যা নগণ্য। হাতে ছাতা নিয়ে চেনা বাসস্ট্যান্ডে অচেনা দৃষ্টি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন যাঁরা তাঁরা, বাসের দেখা নেই। কপালে ভাঁজ নিয়ে শেষতক অনেকেই মিনি-ট্রাক নিদেনপক্ষে অটোর চালে মরিয়া হয়ে চেপে বসছেন। টলোমলো অবস্থায় তারাও বেশি ভাড়ায় ছুটছে গন্তব্যে। সামাজিক বিধির অনুশাসন নেই, নেই তা নিয়ে তেমন কোনও হেলদোল। চেনা পথে অচেনা যান হয়েই ছুটছে তাই টোটো-অটো। যেন ডবলডেকার! পরিবহণ দফতর থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, আজ সোমবার থেকে সরকারি অফিসে যেমন হাজিরা বাড়বে, তেমনই বাজার হাটেও লোকজন বাড়বে।
ফলে আরও বেশি সংখ্যক সরকারি বাস পথে নামবে। কিন্তু পাশাপাশি ভোগান্তির আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।
মুর্শিদাবাদের বেসরকারি বাস মালিকেরা অবশ্য জানিয়েছেন, রাস্তায় লোকজন কম থাকায় রবিবার বাস চালিয়ে লাভ হবে না ভেবেই তাঁরা পথে বেশি বাস নামাননি। সোমবার সে ছবি না-ও দেখা যেতে পারে। সোমবার, কাজের দিন শুরু হলে তাঁরা আরও বেশি সংখ্যাক বাস পথে নামাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
মুর্শিদাবাদে জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামলকুমার সাহা বলেন, ‘‘করোনার আতঙ্কে লোকজন বাইরে কম বেরোচ্ছেন। ফলে বাস চালিয়ে মালিকদের ক্ষতি হওয়ায় ভয়ে তাঁরা বাস কম নামিয়েছেন পথে।’’
জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায় বলেন, ‘‘আমরা আশাবাদী সোমবার থেকে জেলায় সমস্ত রুটে, রাস্তায় নামবে বাস। বাস কর্মীদের মাস্ক-গ্লাভস পরার কথা। মাস্ক ছাড়া কোনও যাত্রীকে তুলতেও নিষেধ করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy