ধৃত: হায়দার শেখ। নিজস্ব চিত্র
সাহেবনগরে গুলিতে দুই গ্রামবাসী খুন হওয়ার পাক্কা দশ দিন পরে কাউকে গ্রেফতার করল পুলিশ!
সাহেবনগরে গুলি-কাণ্ডের পরের দিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই গ্রামবাসীকে। আর দশ দিন পরে, বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত তহিরুদ্দিন মণ্ডলের ডান হাত বলে পরিচিত হায়দার শেখকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহেবনগরের গ্রামবাসী সালাউদ্দিন শেখকে খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিল জলঙ্গির জয়পুর ঘোরামারা গ্রামের হায়দার। বৃহস্পতিবার রাতে ধনিরামপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার হায়দারকে বহরমপুর আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশদিয়েছেন বিচারক। পুলিশের দাবি, গভীর রাতে হায়দার এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। গোপনে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে জলঙ্গির পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার অজিত সিংহ যাদব বলছেন, ‘‘পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে, অভিযুক্তেরা পলাতক, তাই একটু সময় লাগছে।’’
স্থানীয় নাগরিক মঞ্চ থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ— ক্ষোভে ফুঁসছে পুলিশের উপরে। বিরোধীদের দাবি, আদতে তহিরুউদ্দিনের সাগরেদদের ধরে পুলিশ গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। তৃণমূলের ব্লক সবাপতি তহিরকে যাতে ওই ঘটনা থেকে সহজেই মুক্তি দেওয়া যায়, তার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে মৃত পরিবারের আত্মীয়দের দাবি, যে মানুষটা পুলিশের সঙ্গে বসে দু’বেলা চা খেত, তাকেই কিনা খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ! মূলত শাসকদলের চাপে তহিরকে আড়াল করার একটা মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
যদিও জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এলাকা ছাড়া হওয়ায় তাদের খোঁজে অন্যত্রও গিয়েছে পুলিশ।’’
জলঙ্গির সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক ইমরান হোসেন বলছেন, পুলিশ তহিরুদ্দিন-সহ মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে খুব কম সময়ের মধ্যে তারা থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও নেবে বলেও জানিয়ে রাখছেন ইমরান। জলঙ্গি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলছেন, ‘‘পুলিশ যে ভাবে দু’টো খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে তাতে সাহেবনগর এলাকার মানুষের মনে পুলিশের প্রতি আর কোনও আস্থাই নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy