প্রতীকী ছবি।
গাঁ-গঞ্জে একটা চালু কথা রয়েছে— উপরে ভগবান, নীচে প্রধান। আজ, শুক্রবার থেকে শুরু সেই প্রধান নির্বাচন। সেই প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নবাবের জেলা ফের উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
অভিযোগ, কে প্রধান হবেন তা নিয়ে শাসকদলে ইতিমধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। বেলডাঙা ১ ব্লকের মাড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি শাসক দলের লোকজনের মধ্যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে।
গন্ডগোলের আশঙ্কায় জলঙ্গিতে কয়েকদিন আগে থেকে পুলিশি টহল দেওয়া শুরু হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে শাসকদল কোথাও কোথাও শিবির করে দলের সদস্যদের রাখছে।
অন্য দিকে প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাকার খেলা চলছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার প্রকাশ্য সভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “শাসক দল পঞ্চায়েত ভোট করতে দেয়নি। প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাকার খেলা চলছে। শাসক দল প্রধান পদ নিলাম তুলছে। প্রধান পদের দর ২৫-৩০-৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উঠছে।” যা শুনে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি, ডোমকলের পুরপ্রধান সৌমিক হোসেনের মন্তব্য, ‘‘টাকা লেনদেনের অভিযোগ ঠিক নয়। এ সব বিরোধীদের অপপ্রচার।”
আর জেলা তৃণমূল সভাপতি সুব্রত সাহা বলছেন, “সব গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশিরভাগ সদস্য তো আমাদেরই। প্রধান নির্বাচনে নিজেদের সদস্যদের কাছ থেকে টাকা নেব কেন?’’ সুব্রতবাবুর দাবি, আগের দফায় ৪১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। এ বারেও তেমনটাই হবে।
আজ, শুক্রবার থেকে মুর্শিদাবাদে বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় জয়ী গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বোর্ড গঠন শুরু হবে। ১৪, ১৭, ১৮ ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দফায় ২০৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন হবে। এছাড়া ২০, ২৪, ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলার ২৬টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ সভাপতি নির্বাচন হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর হবে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “সুষ্ঠুভাবে প্রধান নির্বাচন করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এক দিনে প্রতিটি মহকুমায় একটি করে ব্লকের পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন করা হবে।” পুলিশি আশ্বাসের পরেও গন্ডগোলের আশঙ্কা করছেন শাসক দলেরই একাংশ। দলীয় সূত্রে খবর, বেলডাঙা ১ ব্লকের মাড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসকদলের প্রার্থীরা আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে সম্প্রতি দু’পক্ষের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়েছে। ওই এলাকায় বোমাবাজি হয়েছে। জলঙ্গি ব্লকেও দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার অনুগামীরা ভাগ হয়ে গিয়েছেন। সমস্যা রয়েছে কান্দিতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy