রঘুনাথগঞ্জের দফরপুরে একটি জনসভায়
সুভাষচন্দ্র বসু, আমাদের বাড়ি আসতেন বাবার সঙ্গে দেখা করতে। শুধু দেখা নয়, আমার বাবা, স্বর্গীয় সুনীল ঘোষ মৌলিকের সঙ্গে দিনের পর দিন চিঠি চালাচালিও হয়েছিল তাঁর।
বাবার কাছে তাঁর অনেক গল্প শুনেছি। এবং বাবাকে যে নিয়মিত চিঠি দিতেন সেই চিঠি আমার ও আমার পরিবারের কাছে অমূল্য সম্পদ হয়ে রয়ে গিয়েছে। এখন গোটা পাঁচথুপি ওই চিঠি দু’টো অমূল্য সম্পদ বলেই মনে করে।
বাবার কাছে শুনেছি, ১৯২৯ সালে নেতাজি প্রথম আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। বহরমপুরে বৈঠক সেরে স্থানীয় বাসিন্দা নৈরাক্ষ সান্যালকে সঙ্গে নিয়ে। তবে, তিনি কখনও জনবহুল রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করতেন না। কান্দি দোহালিয়া কালীবাড়ি হয়ে মোল্লা মাড়ুরো হয়ে মেঠোপথ ধরে আমাদের বাড়ি এসেছিলেন।
পাঁচথুপির বাসিন্দা সুনীল ঘোষ মৌলিককে লেখা চিঠি
এক রাত এ বাড়িতে ছিলেন। আমার মা সাধনা, নিজে আলুর দম আর গাওয়া ঘিয়ে ভাজা লুচির ব্যবস্থা করেছিলেন রাতে। খুব তৃপ্তি করে খেয়েছিলেন এবং রান্নার খুব প্রশংসা করেছিলেন বলে মায়ের একটা প্রচ্ছন্ন গর্ব এখনও টের পাই। কিন্তু সকালের চা নিয়ে নেতাজির ঘরের দিতে যেতেই দেখেন নেতাজি বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
পাঁচথুপির বাসিন্দা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy