ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
আমার বাবা জয়দেব হালদার অসুস্থ হয়ে বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ডাক্তার রক্ত লাগবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু জেলা ব্লাড ব্যাঙ্কে খোঁজ করেও ওই গ্রুপের কোনও রক্ত জোগাড় করতে পারিনি। সেখানে রক্তের জন্য যখন অপেক্ষা করছিলাম, তখন বেশ কয়েক জন দালাল মোটা টাকার পরিবর্তে রক্তে জোগাড় করে দেওয়ার কথাও বলেছিল। কিন্তু আমি সে কথায় গুরুত্ব দিইনি। কারণ এর আগেও ওই দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে রোগীর বাড়ির লোকজন সর্বস্বান্ত হয়েছে বলে শুনেছিলাম। তাই সেখান থেকে চলে আসার পরে পরিচিত এক জনের াকছ থেকে জানতে পারলাম রক্তের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে, যেখানে রক্তের প্রয়োজনের কথা লিখে জানালেই ওই গ্রুপের সদস্যরা স্বেচ্ছায় এসে রক্ত দেন। সেই মত বহরমপুরের একটি গ্রুপে আমি ‘এবি’ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজনের কথা লিখে জানানোর ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই মোটরবাইকে চড়ে এক জন সদস্য এসে হাজির হন। তিনি জেলা ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দান করেন। সেই রক্ত শুক্রবার বাবাকে দেওয়ার ফলে এখন বাবা কিছুটা সুস্থ রয়েছেন। আজ, শনিবারও ওই গ্রুপের অন্য কোনও সদস্য এসে রক্ত দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু যেখানে রক্তের আকাল চলছে। রক্তের অভাবে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। সেখানে ওই গ্রুপের সদস্যরা যেন ভগবানের মত সামনে এসে হাজির হচ্ছেন। কিন্তু ওই সদস্যদের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও রক্ত দেওয়ার পরেই আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। যেমন এ দিন সাহিদ শেখের সঙ্গে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy