Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভাঙা নৌকা দেখে বুকজল ভাঙছে জনতা

বীরভূমের লাঙলহাটা বিল থেকে জল ধেয়ে আসাতেই বড়ঞায় কুঁয়ে নদী ফুলে-ফেঁপে কিছু গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আতঙ্কের প্রহর গুনছে বৈদ্যনাথপুর, মজলিশপুর, মারুট, আনন্দনগর, তারাপুরের মতো প্রায় দশটি গ্রাম।

জলভাসি: তলফুটো নৌকা রইল পড়ে। বড়ঞায়। নিজস্ব চিত্র।

জলভাসি: তলফুটো নৌকা রইল পড়ে। বড়ঞায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৭ ০৩:৪০
Share: Save:

টানা বৃষ্টিতে ভরে গিয়েছে নদী। উপচে গিয়েছে খাল-বিল। দুই জেলার বহু এলাকাই এখনও জলমগ্ন। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি একটু ধরায় জল নামতে শুরু করেছে।

মুর্শিদাবাদে ব্রাহ্মণীতে নতুন করে জল না ছাড়ায় খড়গ্রামে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বড়ঞার সুন্দরপুরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। টানা চার দিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পরে এ দিন জাওহাড়ি-ভড়ঞা গ্রামের রাস্তায় নৌকার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। কিন্তু নৌকার নীচে একাধিক জয়গা ভাঙা থাকায় লোকজন বুকজল ভেঙেই দেড় কিলোমিটার যাতায়াত করেছে। সকালে ভরতপুর ১ ব্লকে সুকধানপুর গ্রাম কুঁয়ে নদীর জলে প্লাবিত হয়। ওই গ্রামের আটটি পরিবারকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে।

বীরভূমের লাঙলহাটা বিল থেকে জল ধেয়ে আসাতেই বড়ঞায় কুঁয়ে নদী ফুলে-ফেঁপে কিছু গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আতঙ্কের প্রহর গুনছে বৈদ্যনাথপুর, মজলিশপুর, মারুট, আনন্দনগর, তারাপুরের মতো প্রায় দশটি গ্রাম। আমন ধান রোয়ার মুখে জমি টানা জলে ডুবে থাকায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। ভড়ঞা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বুদ্ধদেব সাহা বলেন, “বেশ কিছু পরিবারের মাটির বাড়ির ছাউনি ভেদ করে জল ঘরে পড়ছে। কিন্তু ত্রিপল পাওয়া যায়নি। ত্রাণের কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি।” অথচ কান্দির মহকুমাশাসক অভীককুমার দাস বলেন, “মহকুমার পাঁচটি ব্লকেই প্রচুর শুকনো খাবার ও ত্রিপল মজুত আছে। বুধবার থেকে সুন্দরপুরে তা বিলি করা হবে। জলও দেওয়া হবে।”

নদিয়ায় চাকদহ পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতে জল জমেছে। ১, ২, ৬ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্যা বেশি। কমবেশি সাতশো পরিবার জলমগ্ন। পাম্প করে জল বের করার কাজ চলছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫টি পরিবারকে এক স্কুলে রাখা হয়েছে। করিমপুরে রামকৃষ্ণপল্লি, সুভাষপল্লির মতো বেশ কিছু এলাকা অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যথারীতি সেখানে জল জমেছে। তেহট্ট মহকুমাসদরের বিভিন্ন এলাকাও জলমগ্ন। নবদ্বীপ বা জেলাসদর কৃষ্ণনগরে অবশ্য কোথাও তেমন জল জমেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE