Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সিআইডির তদন্তের বহরে ক্ষুব্ধ রানাঘাট

রানাঘাটের একটি কনভেন্টে ডাকাতি ও এক বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনার একমাস পূর্ণ হল সোমবার। অথচ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক ভাবে দু’জনকে গ্রেফতার করা ছাড়া বিশেষ কিছুই করতে পারেনি সিআইডি। এতবড় একটা ঘটনার পরে পুলিশ, সিআইডি-র এমন ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ রানাঘাট। গত ১৩ মার্চ রানাঘাটের ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল তামাম দুনিয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৪৬
Share: Save:

রানাঘাটের একটি কনভেন্টে ডাকাতি ও এক বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনার একমাস পূর্ণ হল সোমবার। অথচ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক ভাবে দু’জনকে গ্রেফতার করা ছাড়া বিশেষ কিছুই করতে পারেনি সিআইডি। এতবড় একটা ঘটনার পরে পুলিশ, সিআইডি-র এমন ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ রানাঘাট।

গত ১৩ মার্চ রানাঘাটের ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল তামাম দুনিয়া। ঘটনার পরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। ঠিক তারপরেই তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। পরে সিবিআই তদন্ত করবে বলেও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিবিআইও তদন্ত ভার নেয়নি। এ দিন রানাঘাটের ওই ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। তাঁরা সকলেই সিআইডির ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ। রানাঘাটের ওই ঘটনার পরে স্কুলের সিসিটিভি-র ফুটেজ সংগ্রহ করে দুষ্কৃতীদের কয়েকজনকে শনাক্ত করা গিয়েছে বলে প্রথমে পুলিশ দাবি করেছিল। সেই সময় জেলা পুলিশ ঘোষণাও করেছিল যে, ওই ফুটেজ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া হবে। তা দেখে কেউ দুষ্কৃতীদের সন্ধান দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। সংবাদমাধ্যমে সেই ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পরেও দুষ্কৃতীদের নাগাল পায়নি পুলিশ ও সিআইডি কেউই। বরং মুম্বই ও উত্তর ২৪ পরগনা থেকে যে দু’জনকে ধরা হয়েছে তাদের সঙ্গে ওই ফুটেজে দেখা ব্যক্তিদের আদৌ কতটা মিল রয়েছে তা নিয়ে সন্দিহান জেলা পুলিশেরই একাংশ।

স্থানীয় বাসিন্দা কাকলি বিশ্বাস ও স্টিফেন মণ্ডলরা বলছেন, ‘‘ঘটনার পরে কত কাণ্ড ঘটে গেল। ওই বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনী শহর ছেড়েই চলে গেলেন। তারপরেও কেউ কিছু করতে পারল না। এ তো মনে হচ্ছে দুষ্কৃতীদের ধরার থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এটা অত্যন্ত লজ্জার।’’ ঘটনার পরে ফের নিয়মিত স্কুল চলছে। স্বাভাবিক হয়েছে এলাকাও। তারপরেও সেই রাতের ঘটনা কাঁটার মতো খোঁচা দেয় তামাম শহরকে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলছেন, ‘‘ব্যবসার ক্ষতি হবে জেনেও ওই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা বাজার বন্ধ রেখেছিলাম। ভেবেছিলাম এর একটা বিচার হবে। দোষীরা ধরা পড়বে এবং তাদের শাস্তি হবে। কিন্তু কিছুই তো হল না।’’

রানাঘাট প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্য সুমন মজুমদার বলেন, ‘‘ওই ঘটনার পরে আমরাও প্রতিবাদ শুরু করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের চাপে আমরা সেই প্রতিবাদটাও নিজেদের মতো করতে পারিনি। ঘটনার এক মাস কেটে গেলেও পুলিশ, সিআইডি কেউই কিছু করতে পারল না। আমরা মনে করি সকলের উচিত প্রতিবাদে সামিল হওয়া। নাহলে এই ঘটনাও ধামাচাপা পড়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE