দাবি নিয়ে প্রচার। চাকদহ স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র
গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বাস স্টপে দাঁড়িয়ে আছেন এক দৃষ্টিহীন মানুষ। একের পর এক বাস বেরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কেউ তাঁকে বাসে তুলছে না। যদি বাসে উঠতেও পারেন, তো বসার জায়গা পান না।
অথচ বাসে রয়েছে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা আসন। প্রতিবন্ধী হিসেবে ভাড়ায় যে ছাড় পাওয়ার কথা তা-ও পাননা অনেক সময়ে। কোনও হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী বাসে উঠে ভাড়া দিতে না পারলে মাঝরাস্তায় নামিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে আকছার।
এ রকম আরও অনেক সমস্যায় প্রতি দিন রাস্তাঘাটে হেনস্তা হচ্ছেন প্রতিবন্ধীরা। জীবনধারণের জন্য প্রায়ই তাঁদের নানা জায়গায় যেতে হয়। কিন্তু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য সরকারি প্রতিবন্ধী কার্ড লাগে, তা বার করার জন্য যে সব নিয়মকানুন আছে তা অনেকটা জটিল। তার জন্য যে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়, সেই নিয়মের নিগড় এখন শিথিল করার দাবি তুলছেন প্রতিবন্ধীরা। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সজল বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার মতো অনেক দৃষ্টিহীন মানুষ আছেন, যাঁরা শিক্ষিত। তাঁরা অনেক আশা নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। কিন্তু তাঁদের চাকরির ক্ষেত্রে অনেক রকম বাধা আসে। পথেঘাটে অনেক নারী প্রতিবন্ধী শ্লীলতাহানির শিকার হন। আমরা চাই, সরকার আমাদের নিরাপত্তা ও কাজ সুনিশ্চিত করুক। আমরা দয়া চাই না, অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই।’’
দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিবন্ধী ঐক্যমঞ্চ নদিয়া। তার কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রতিবন্ধীদের অসুবিধাগুলি চিহ্নিত করে মানুষকে সচেতন করার জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করি। সরকারি অফিসেও সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করি। কিন্তু সমস্যা অনেক আছে।’’ ১৫ দফা দাবি নিয়ে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর তাঁরা জেলাশাসকের দফতরে ধর্না দেবেন বলেও জানান। কিন্তু তাতে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন প্রতিবন্ধীরাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy