প্রতীকী ছবি।
ভাগ্নীকে উত্ত্যক্ত করত পাশের পাড়ার দুটি ছেলে। অশালীন ইঙ্গিত থেকে অভব্য আচরণ — চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। তারই প্রতিবাদ করেছিল বছর আঠাশের যুবক বাপি মালাকার। সেই ‘অপরাধে’ বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে খুন করে দিল দুষ্কৃতীরা। সোমবার কৃষ্ণনগর শহরে ওই ঘটনার পরে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ছ’জনকে।
পুলিশ জানায়, কৃষ্ণনগরের দক্ষিণ কালীনগরে লোকনাথের পুজোর হচ্ছিল। পাড়ার মোড়ের এই পুজোয় গিয়েছিল ওই তরুণী। রাত আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময়ে পাশের কাঁসারিপাড়া এলাকার ওই দুই যুবক রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল। সে দিনও উত্ত্যক্ত করতে ছাড়েনি তারা। ওই তরুণী তাঁর মামাকে জানিয়েছিল। এর পরবাপি তাদের ডেকে পাড়ার ভিতরে এসব না করার কথা বলে পুজো মন্ডপ ছেড়ে চলে যেতে বলে। তা নিয়ে বচসা হাতাহাতি গড়ায়। সোমবার রাত সোয়া ৮টা নাগাদ বেশ কয়েকটা মোটর বাইকে চেপে বাপির বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। বিপদ বুঝে বাপি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ওই দুষ্কৃতীরা তাকে ধরে মাটিতে ফেলে মারধর করে। আহত বাপিকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে তাকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে পথেই মারা যান ওই যুবক।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই কৃষ্ণনগর-বগুলা রাজ্য সড়কের উপরে বসে পড়েন এলাকার মহিলারা। পুলিশ গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বাপির বাবা, মা, ভাই, বোন মারা গিয়েছে। বাড়িতে ৭৯ বছরের বৃদ্ধা ঠাকুমা আশালতা। তার কাছেই মানুষ বাপি। কাঠের মিস্ত্রি হলেও সে গরম কালে মাঝে মাঝে কুলপি মালাইও বিক্রি করত। পুলিশি সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের সকলেই বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy