মেলায় শিশুরা। নিজস্ব চিত্র
প্রস্ততিতে কোনও রকম খামতি ছিল না। বাঁশের টাওয়ারে মাইক বেঁধে তাতে নাগাড়ে প্রচচারও শুরু হয়েছিল। মাঠ জুড়ে পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন ব্যবসায়ীরাও, নাগরদোলা ঘুরছিল পাঁইপাঁই করে।
কিন্তু বেলা গড়াতেই মোক্ষম সময়ে ভিলেন মেঘ হাজির হল জলঙ্গি ও ডোমকলের আকাশে। আর তাতেই ম্লান হয়ে গেল জলঙ্গি ও ডোমকলে মহরমের মেলা। যে মেলায় বছর বছর মানুষের চাপে চিড়ে চ্যাপ্টা হওয়ার জোগাড় হয়, জনা কয়েক মানুষ সেখানে এ বার গায়ে হাওয়া দিয়েই ঘুরল মেলা প্রাঙ্গণে। ডোমকলের মহরমের মেলা কমিটির সভাপতি আলম খাঁন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অন্য বার যেখানে গোটা মাঠ জুড়ে থাকে মানুষ আর মানুষ। সেখানে এ বার ফাঁকা মাঠেই হল মেলা। বাইরে থেকে যারা আসেন তারা বৃষ্টির ফলে কেউ আসতে পারেননি। ফলে জমেওনি এবারের মেলা।’’
সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার থাকলেও বেলা গড়াতেই রোদ ঝলমল আকাশের দেখা মিলেছিল ঘণ্টা দুয়েক। আর তাতেই মহরমের মেলা কমিটির কর্তারা আশার আলো দেখেছিলেন। কিন্তু তা আর স্থায়ী হয়নি। দুপুরের পর থেকে আবারও শুরু হয়েছে বৃষ্টি। জলঙ্গির মহরমের মেলা কমিটির কর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘ঠিক যে সময়ে মানুষ মেলার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে রওনা দেবে ঠিক সেই সময়ে বৃষ্টি নেমেছে আমাদের এলাকায়। আর সকালে দফাই দফাই ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর ঝড়ের আশঙ্কায় মানুষ মেলা থেকে বিমুখ হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে আর জমেনি মেলা।’’ জলঙ্গির বাসিন্দা আব্দুস সালমের কথায়, ‘‘জলঙ্গির মহরমের মেলা দীর্ঘদিনের মেলা। কারবালা থেকে মেলার ঢেউ আছড়ে পড়ে বাজারেও কিন্তু এবার মনে হল অর্ধেক মানুষও আসেনি মেলায়।’’ ফলে দিনভর গোমড়া আকাশের মতই দিনের শেষে মুখ ভার থাকল মেলা কমিটির কর্তা থেকে বিক্রেতা, এমনকি মেলায় অংশ নিতে না পারা এলাকার সাধারণ মানুষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy