ঘটনার দিনই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হল বাবার। সেই সঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছ’মাসের কারাবাস। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ওই নাবালিকাকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ওই রায় শুনিয়েছেন রানাঘাট আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক শুভ্রদীপ মিত্র।
সরকার পক্ষের আইনজীবী অপূর্বকুমার ভদ্র জানান, ওই মামালায় মেয়েটির পরিবারের সদস্য-সহ এগারো জন সাক্ষী ছিলেন। সকলের কথা শুনে বিচারক ওই সাজা ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ দিন রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ছাড়া শীঘ্রই রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্য সরকারকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তিনি বলেন, ‘‘যার কাছে সুরক্ষিত থাকবে, সেই বাবার কাছেই ধর্ষিতা হয়েছে মেয়ে। এই সাজায় আগামী দিনে অনেকে এই কাজ করতে ভয় পাবেন।”
সরকারি আইনজীবী জানান, এ বছরের ১৯ জানুয়ারি দুপুর দেড়টা নাগাদ মেয়েটির মা ওষুধ কিনতে দোকানে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিল তাঁর দশ বছরের ছোট ছেলে। তাকে দোকানে জিনিস আনতে পাঠিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। দোকান থেকে ফিরে এসে বাবার কীর্তি দেখতে পায় ছেলেটি। মা ফিরে এলে তাঁকেও বিষয়টি জানায়। ছেলের মুখে সব শোনার পর মেয়েটির মা ওই দিন ধানতলা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই দিনই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। সেই থেকে জেল হেফাজতে ছিল সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy