—ফাইল চিত্র।
মুর্শিদাবাদ জেলার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নে সিলমোহর দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর জেলা সফরের খবর ছড়াতেই আর পাঁচটা আবদারের সঙ্গে জেলার শিক্ষামহল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ফের উস্কে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ধামাচাপা পড়া স্বপ্ন। বুধবার দিনভর, ধুমারপাহাড়ের প্রশাসনিক সভা কিংবা বহরমপুরের প্রশাসনিক বৈঠক— বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা তুললেও তা নিয়ে স্পষ্ট করেননি কিছুই। ফলে খানিক হতাশাই জমেছিল বুঝি!
এ দিন সকালে, সেই মনখারাপে জল ঢেলে মমতা জানিয়ে গেলেন, ‘‘এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে বেশ উৎসাহী। বিশেষ করে মেয়েরা তো ভাল পড়াশোনা করছে। আজ সকালে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলেছি, পরের শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিষয়ের কোর্স চালু করে দিতে। যখন ভবন নির্মাণ হবে, তখন পুরোদমে চালু হবে, কিন্তু যত দিন নির্মাণ কাজ শেষ না হচ্ছে, ক্লাস হবে কৃষ্ণনাথ কলেজে। ওই কলেজে জায়গা আছে, ওখানেই আপাতত ক্লাস হোক।’’
এ দিন সকালে, বহরমপুরে সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। ভবন নির্মাণ করতে একটু সময় লাগবে। আপাতত তাই কৃষ্ণনাথ কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস হবে। সেখানে কিছু ঘর আছে। আপাতত তো পঠনপাঠন চালু হোক।’’
পরে, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনাও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৩৮ একর জমি উচ্চশিক্ষা দফতরকে দেওয়া হয়েছে। ওই জমি পূর্ত দফতরের। কৃষ্ণনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষও কিছু জমি দেবেন। সেই জমিতেই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য ডিপিআর তৈরি হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বহমপুর শহর এবং খাগড়াঘাট স্টেশন লাগোয়া গোপজান মৌজায় ওই জমি দেওয়া হয়েছে।
এক বছর আগে বিধানসভায় মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়েছে। তার পরেই বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের জমি দান করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ‘কিন্তু ওই পর্যন্তই। কাজ এগোয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও তা গড়ে তোলারর জন্য সরকারি ফাইলের ফাঁস আলগা হয়নি।
ফলে পড়ুয়াদের ভরসা সেই উত্তরবঙ্গ-গৌড়বঙ্গ-বর্ধমান কিংবা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়েই থমকে ছিল।
স্নাতকোত্তর পঠন পাঠনের জন্য দূরের শহরে পাড়ি দেওয়া ছাড়া তাই গতি ছিল না জেলার পড়ুয়াদের। এ বার সেই সমস্যা মিটতে চলায় হাসি ফুটেছে পড়য়াদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy