সপ্তাহভর বন্ধ থাকার পরে আজ, বুধবার থেকে ফরাক্কা সেতু-সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করার আশ্বাস দিল ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। ৫ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হলেও গত এক সপ্তাহ যাবত সে কাজ বন্ধ ছিল।
সেতুর উপর রাস্তা সংস্কারের কাজের প্রথম দফায়, ২২৪৫ মিটার দীর্ঘ সেতুর দুই লেনের বিটুমিন ও কংক্রিট তুলে ফেলার সময়সীমা নির্দিষ্ট ছিল ৩৫ দিন। তবে এই ক’দিনে কাজ হয়েছে সাকুল্যে ১৫ শতাংশ। সেতু সংস্কারের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে সোমবার ফের বৈঠক বসে প্রশাসনিক কর্তারা। তাঁদের তীব্র অসন্তোষের মুখে পড়েন
ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।
এ দিনের বৈঠকে দুই জেলার জেলা প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালদহের ব্যবসায়ী সংস্থা, গ্যাস, পেট্রল পাম্প ডিলার সহ জাতীয় সড়ক ও ঠিকাদারি সংস্থার প্রতিনিধিরাও। হাজির ছিলেন ফরাক্কা ব্যারাজের জনা তিনেক অফিসারও। মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বৈঠকে ব্যারাজের জেনারেল ম্যানেজারের অনুপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকেই তিনি ব্যারাজের কর্তাদের জানিয়ে দেন, প্রতিশ্রুতি সেতু সংস্কারের কাজের কোনও অগ্রগতি নেই। কাজে গতি চাই। ক্ষোভের মুখে পড়ে কার্যত অসহায় দেখায় বৈঠকে উপস্থিত ফরাক্কা ব্যারাজের সুপারেনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ কুমার সিংহকে। এ ব্যাপারে তিনি অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছেও সেতু সংস্কারের কাজ নিয়ে তার অসন্তোষ গোপন করেননি মালদহের জেলাশাসক। কারণ সেতু দিয়ে চলাচলে সমস্যা হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে মালদহ জেলা।
জেলাশাসক বলেন, “ফারাক্কা ব্যারাজ থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সেই গতি নেই কাজে। যতটা কাজ হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। ফরাক্কা ব্যারাজকে বলা হয়েছে সেতু সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করতে।’’
বৈঠক থেকে বেরিয়ে মালদহ জেলা চেম্বার্স অ্যান্ড কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু অভিযোগ করেন, ‘‘ফরাক্কা সেতু সংস্কারের কাজে ঢিলেমির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালদহ জেলা। জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে।’’
তাঁদের প্রচ্ছন্ন শাসানি, সেতু সংস্কারের কাজে অগ্রগতির এই হাল হলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর সমস্ত জায়গায় টোল ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy