সুতাহাটার রামমোহন মিশন কলেজের পরিচালন কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেতা তুষার মণ্ডলকে। ওই কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি হলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডলকে।
ইতিহাসব লছে, কংগ্রেস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে কয়েকজন নেতা বেরিয়ে এসেছিলেন তার মধ্যে তুষার মণ্ডল একজন। তুষারবাবু ২০০১ সালে বিধায়ক হয়েছিলেন। তৃণমূলে আসার আগে ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০১২ সালে কাউন্সিলর নির্বাচনে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি হেরে যান। এরপর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সেই তুষারবাবুকেই কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় অন্য বার্তা দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনে হলদিয়া আসনটি হাতছাড়া হওয়ার পিছনে তুষার মণ্ডলের হাত আছে বলে মনে করছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর বিধানসভা নির্বাচনে হলদিয়ার প্রার্থী মধুরিমা মণ্ডলকে তাঁর পছন্দ ছিল না। ওই পদে তিনি দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। এছাড়া বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ায় তুষারবাবু দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেনি বলেও অভিযোগ উঠেছিল। আর সেকারণেই এই অপসারণ বলে মত স্থানীয় রাজনীতিক মহলের।
আবার তৃণমূলের একটি শিবির বলছে, সম্প্রতি তুষারবাবু পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনে হারের কারণে দেবপ্রসাদবাবুকে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের বোর্ডের সদস্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তুষার মণ্ডলকে সরিয়ে দিয়ে পরোক্ষে দেবপ্রসাদবাবুকে আগাম বার্তা দেওয়া হল বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও একথা মানতে নারাজ দেবপ্রসাদবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘এটা ওই কলেজের পরিচালন কমিটির ব্যাপার। এখানে রাজনীতি খোঁজা ঠিক নয়।” আর তুষারবাবু বলছেন, ‘‘ইচ্ছা হয়েছিল উনি সম্মান দেওয়া হয়েছিল। এখন ইচ্ছে হল সরিয়ে দেওয়া হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy