অবশেষে: রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে ফরাক্কা সেতুর উপরে। নিজস্ব চিত্র
আশঙ্কা ছিল যানজটের! কিন্তু শুক্রবার ফরাক্কা সেতু সারাইয়ের কাজ শুরু হলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে যানজট পোহাতে হল না কাউকে। যানজটের মূল কারণ উত্তরবঙ্গগামী সমস্ত পণ্যবাহী লরিগুলিকে এ দিন সকাল থেকেই আটকে দেওয়া হয় ফরাক্কার জিগরি, শমশেরগঞ্জের বাসুদেবপুরে। দুটি জায়গায় লরির সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ফরাক্কা সেতুর আগে কালিয়াচকে আটকে দেওয়া সমস্ত ভারি যান। রাস্তা সারাইয়ের প্রথম দিনটি কাটল নির্বিঘ্নেই।
এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ ফরাক্কার দিক থেকে ডান দিক বরাবর শুরু করা হয়েছে ব্যারাজের উপর পিচ সড়ক ও কংক্রিটের ঢালাই খোঁড়ার কাজ। ১৫ জন কর্মী ড্রিল মেশিন দিয়ে সন্ধ্যে পর্যন্ত একটি লেনের প্রায় কুড়ি ফুট মত রাস্তা খুঁড়তে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে। ব্যারেজের দৈর্ঘ্য ২২৪৫ মিটার। সেক্ষেত্রে প্রথম দফায় খোঁড়ার কাজ ৩৫ দিনে শেষ করার কথা থাকলেও সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে রাস্তার একদিক ঘিরে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলায় সে ভাবে ছোট গাড়ি ও বাস চলাচলে সমস্যা হয়নি। ফরাক্কা ব্যারাজের জেনারেল ম্যানেজার শৈবাল ঘোষ বলছেন, ‘‘প্রথম দফায় ভারি যানবাহন রাতে চলতে দেওয়া হলেও দ্বিতীয় দফার কাজ শুরু হলে তা অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। রাতের দিকে কাজ চলাকালিন গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখা হবে।’’ তিনি জানান, শুধু সড়কই নয়, সারাই হবে সেতুর বিভিন্ন ভেঙে পড়া অংশও। সেই কারণেই সময় লাগবে।”
তবে আটকে পড়া লরি চালকদের অনেকেই এ দিন তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। লরি চালক মহম্মদ আকিমুদ্দিন বলছেন, “লরি চলাচল নিয়ে ঝামেলার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু সাত-সকালে ফরাক্কায় এসে আটকে পড়ব, ভাবতে পারিনি।’’ বাসুদেবপুরে আটকে পড়েছেন মানিক সিংহ। তার ক্ষোভ, “যাতায়াত পথে আটকে পড়লে পণ্য নিয়ে এ পথে আসা যাবে না। লরি একদিন দাঁড় থাকা মানেই লোকসান। ৬০ হাজার টাকা কিস্তি। একদিন বসে থাকার অর্থ দু’হাজার টাকা লোকসান।”
এ দিন ভারি যান বন্ধ রেখে ফরাক্কার সেতু সড়ক সারানোর কাজ শুরু হলেও অবশ্য এ দিন ফরাক্কা এলাকার কয়েকশো লরি চালক ভারি যান বন্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ফরাক্কা ব্লক অফিসে। লরি চালকদের সেই বিক্ষোভ সভায় হাজির ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক, সিপিএম নেতা আবুল হাসনাত খান ও তৃণমূলের জেলা সম্পাদক সোমেন পান্ডে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy