Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Electricity

বন্ধ স্কুল, তবু বিদ্যুতের বিল পঁচিশ হাজার

পিপুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় কিংবা কেচুয়াডাঙা বিধানচন্দ্র  বিদ্যানিকেতনেরও একই অভিযোগ। পিপুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম তেওয়ারী জানান, অন্য সময়ে স্কুলে প্রতি তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল আসে তিন হাজার টাকার মতো।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

কল্লোল প্রামাণিক
করিমপুর শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫১
Share: Save:

করোনার কারণে স্কুল বন্ধ। প্রতি মাসে মিড ডে মিলের চাল-আলু দেওয়া ছাড়া গত প্রায় ছয় মাস স্কুলে কোনও পঠনপাঠন হয়নি। ক্লাস বসেনি। ফলে আলোপাখাও চলেনি। অথচ, বিদ্যুৎবিলের টাকার অনুপাত দেখলে চমকে উঠতে হচ্ছে। সেই চড়া বিল মেটাতে হচ্ছে স্কুলগুলিকে। বালিয়াডাঙা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক অসিত পালের অভিযোগ, ‘‘সোমবার স্কুলের বিদ্যুৎ-বিল হাতে এসেছে। গত তিন মাসের সেই বিলের টাকার পরিমাণ ২৫৫৬৫ টাকা! স্কুল চলাকালীন স্কুলের সতেরোটি ঘরে প্রায় দেড়শো ফ্যান, আলো, পাম্প, কম্পিউটর মিলিয়ে ২৫ হাজার টাকার মতো বিল হয়। কিন্তু বন্ধ স্কুলে এই বিল হয় কী ভাবে!’’

পিপুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় কিংবা কেচুয়াডাঙা বিধানচন্দ্র বিদ্যানিকেতনেরও একই অভিযোগ। পিপুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম তেওয়ারী জানান, অন্য সময়ে স্কুলে প্রতি তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল আসে তিন হাজার টাকার মতো। এ বারে তিন মাসের বিল এসেছে সাত হাজার টাকা! স্কুলে পড়াশোনা বন্ধ থাকলেও কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি করেছিল প্রশাসন। তার জন্য আলাদা ভাবে জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছিল। প্রশাসন জল দিলেও বিদ্যুতের বিল স্কুলের বিলেই যোগ হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় বিডিও ও জেলা স্কুল পরিদর্শককে জানানো হয়েছিল। পরিদর্শকের অনুমতি নিয়ে বিলের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

বিদ্যুতের বিলের পাশাপাশি স্কুলের পরীক্ষার খাতাপত্র, প্রশ্ন, টিএলএম, শৌচালয়ের রক্ষণাবেক্ষণ-সহ বিভিন্ন খরচ মেটানোর জন্য সরকার থেকে স্কুলে থোক টাকা দেওয়া হয়। প্রধানশিক্ষকের প্রশ্ন, ‘‘এর বেশির ভাগ যদি বিদ্যুতের বিল দিতে খরচ হয়ে যায় তা হলে চলবে কী ভাবে?’’ কেচুয়াডাঙা স্কুলের প্রধানশিক্ষক প্রদীপ ঘোষের কথায়, ‘‘কোয়রান্টিন কেন্দ্রের বিদ্যুতের বিল প্রশাসনেরই দেওয়া উচিত। অথচ, প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। স্কুলকেই বিলের টাকা শোধ করতে হয়েছে। তাঁর কথায়, “স্কুল চলার সময়ে যেখানে বিদ্যুৎ-বিল হত সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা সেখানে স্কুল বন্ধ থাকার সময় গত তিন মাসের বিল হয়েছে সাড়ে চোদ্দো হাজার টাকা!” করিমপুর ১-এর বিডিও অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশেই স্কুলে কোয়রান্টিন কেন্দ্র হয়েছিল। বিদ্যুৎ বিল নিয়ে স্কুলের অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Karimpur Electric Bill School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE