নদী পথে পাটের আড়ালে ইলিশ ভর্তি বস্তা উদ্ধার। নিজস্ব চিত্র
পাটের আড়ালে যে ইলিশের ঘরবাড়ি হতে পারে, কে ভেবেছিল!
দিন দশেক আগে জলঙ্গির ফরাজিপাড়া সীমান্তে বিএসএফের জওয়ানেরা তারই সন্ধান পেয়েছেন। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে মদের বোতল, গরুর শিঙে মোবাইলের সঙ্কেত, চরের ঘাস বোঝাই বস্তায় মাদকের নিভৃতবাস কিংবা থার্মোকলের নৌকায় বিলিতি মদের ক্রেট— পাচারের এমন নিত্য নতুন কৌশলের হদিস করে সীমান্তরক্ষীরা যখন কিঞ্চিৎ নিশ্চিন্তি বোধ করছেন ফরাজিপাড়ায় পাটের বান্ডিলে ইলিশ নজরে পড়ল তখনই! যা দেখে দেখে ভারী অবাক হয়ে গিয়েছেন বিএসএফ কর্মীরা। গঙ্দা-পদ্মায় এ মরসুমে ইলিশের আনাগোনা নতুন কোনও ঘটনা নয়। বছর দুয়েক আগেও দুই নদীতে বর্ষার মাসে গভীর রাতেও থিকথিক করত মেছো নৌকা, ইলিশের খোঁজে। কোভিড আবহে তা স্তব্ধ প্রায়। তবু বাংলাদেশের পদ্মায় এ বূারও দেদার ইলিশ উঠছে বলে খবর। অথচ এ বাংলার নদীতে তাদের তেমন দেখা নেই। তাই পাচারকারীদের নজর পড়েছে ইলিশেও।
পদ্মায় পাটের আঁটি ভাসিয়ে দেওয়ার রীতি নতুন নয়। সেই ভাসানো পাটের আঁটির আড়ালেই চলছে দেদার ইলিশের কারবার। তেমনই এক পুাটের বান্ডিল খুলে বিএসএফ সম্প্রতি উদ্ধার করেছে প্রায় ৬০০ কেজি পদ্মার ইলিশ। পাটের আঁটির আড়ালে বস্তা, আর তা খুলতেই বেরিয়ে পড়ে থরে থরে রাখা রুপোলি শস্য। পাটের আঁটির তলায় সন্তর্পণে রাখা সেই সেই বস্তা টের পাওয়াই মুস্কিরল।
সীমান্তের চরের উর্বর জমিতে কৃষিকাজে জড়িত অনেকেই। বিএসএফের নানা আপত্তি সত্ত্বেও চরের জমিতে পাট, কলাই ভাল ফলনের জন্য পা পড়ে সীমান্তের গ্রামবাসীদের। দুপুর হলেই চরে তাদের জন্য খাবার নিয়ে যায় বাড়ির মেয়ে, বৌ'রা। রাজানগর আউট পোস্টের ৭ নম্বর পয়েন্ট দিয়ে যাচ্ছিলেন তেমনই এক সীমান্তবাসী মহিলা।
স্বামী চরের জমিতে কাজ করছে বলে ওই মহিলা তার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যাচ্ছেন চরে, এমনই ছিল তার দাবি। গামছায় বেঁধে খাবার নিয়ে যাওয়া এলাকার রেওয়াজ। তাই অনেক ক্ষেত্রেই তারা চোখের দেখা দেখে ছেড়ে দেন। কিন্তু ওই দিন ভোটার কার্ডে চোখ পড়তেই মহিলাকে আটকালেন মহিলা জওয়ানেরা। গামছা বাঁধা সেই খাবার খুলতেই কানা উঁচু থালা ভর্তি ভাত। দুপাশে দুটো বাটিতে তরকারি, ডাল। পাশে কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ। কিন্তু ভাতের থালায় হাত ঢোকাতেই পাওয়া গেল ২০ প্যাকেট ইয়াবা মাদক ট্যাবলেট। সংখ্যায় ৪ হাজার। বাজারে যার দাম ২০ লক্ষ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy