দাবি। নিজস্ব চিত্র
বেশ কয়েক দিন ধরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের পরে অনশন শুরু করলেন কল্যাণীর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি’র (ট্রিপল আইটি) বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। রবিবার সকাল থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ৩৫ জন পড়ুয়া অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে অনশন শুরু করেছেন।
বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের মূল দাবি, ট্রিপল আইটি’র ক্যাম্পাস তৈরি হওয়ার আগে পর্যন্ত পড়ুয়াদের কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ কোনও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত করতে হবে। সেটা খড়গপুর আইআইটি, শিবপুর বা এনআইটি দুর্গাপুরে হতে পারে। তাঁদের বক্তব্য, আইআইটিতে পড়ার মতো র্যাঙ্ক তাঁরা জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষায় করতে পারেননি। ফলে, আইআইটিতে না হলেও দুর্গাপুর এনআইটি-তে তাঁদের স্থানান্তর করা যেতেই পারে। দেশের কয়েকটি ট্রিপল আইটি-কে এ ভাবে এনআইটি-র সঙ্গে পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন। আর এই দাবি পূরণ না করা অবধি পড়ুয়াদের একাংশ অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানাচ্ছেন।
পড়ুয়াদের দাবি, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে দেখা গিয়েছে, ৩৫ জনের শারীরিক অবস্থা ভাল। তাই তাঁরা অনশনে বসেছেন। আর তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা পড়াশোনা ও ক্যাম্পাসিংয়ের প্রস্তুতির জন্য ব্যস্ত থাকায় অনশনে বসেননি। তবে ওই দুই বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রয়েছেন এবং আন্দোলন স্থলে আসছেন।
এ দিন অনশন শুরুর পরে পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। বৈঠকে যোগদানকারী এক পড়ুয়া জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানের কর্তারা দাবি করছেন, অস্থায়ী ক্যাম্পাসেই শ্রেণিকক্ষ বাড়ানো হবে। উন্নত করা হবে গবেষণাগারও। কিন্তু এতে পড়ুয়ারা সন্তুষ্ট নন। তাঁদের বক্তব্য, অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হস্টেলে থাকতে তাঁরা রাজি নন। এক এক বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা আলাদা ভাড়া বাড়িতে রাখা হয়। আর চারটি বর্ষের পড়ুয়ারা থাকা সত্ত্বেও অ্যাকাডেমিক ব্লকে রয়েছে মাত্র তিনটি শ্রেণিকক্ষ। এই অবস্থায় অন্য কোনও নামী প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের না নিয়ে গেলে আন্দোলন চলবেই।
এক পড়ুয়া বলেন, ‘‘আমাদের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে কারও সদিচ্ছা নেই। উল্টে অনশন না করার জন্য আমাদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, অনশন চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতে চাকরি ও বিদেশ যাওয়ার ছাড়পত্র পেতে সমস্যা হবে।’’ কয়েক বছর আগে সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মতো কল্যাণীতেও ত্রিপল আইটি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এর জন্য কল্যাণী-ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে জমি বরাদ্দ হলেও এখনও তৈরি হয়নি স্থায়ী ক্যাম্পাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy