Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

খালি পায়ে আর নয়, শিক্ষকরাই জুতো দিলেন পড়ুয়াদের

জুতো না পরে স্কুলে আসায় হোঁচট লেগে কারও পায়ের নখ উঠে যায়। জুতো না পরে থাকায় কারও পায়ের তলায় পেরেক ঢুকে গিয়েছে।

দেওয়া হচ্ছে জুতো কেনার কুপন। বহরমপুরে। —নিজস্ব চিত্র

দেওয়া হচ্ছে জুতো কেনার কুপন। বহরমপুরে। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৩
Share: Save:

গোরাবাজার আইসিআই স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির দুঃস্থ ছাত্রদের জুতো দিলেন শিক্ষকেরা। ছাত্রদের নিজস্ব আর্ট মিউজিয়াম গড়ার জন্য পেশায় অধ্যাপিকা সৈয়দা নাফিসা ইসলাম নামের এক অভিভাবিকা স্কুলকে দান করে ছিলেন এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা। পেশায় চিকিৎসক, মাধব মণ্ডল ওই স্কুলের প্রাক্তনী দিলেন একটি ‘সিকবেড’ এবং সপ্তাহে এক দিন স্কুলে গিয়ে দুঃস্থ ছাত্রদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। আর এক প্রাক্তনী, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক পূর্ণেন্দু সেন স্কুলের গ্রন্থাগারের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেন এ দিন।

জুতো না পরে স্কুলে আসায় হোঁচট লেগে কারও পায়ের নখ উঠে যায়। জুতো না পরে থাকায় কারও পায়ের তলায় পেরেক ঢুকে গিয়েছে। স্কুলে এসে কেউ আবার কৃমির যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়ে। পড়ুয়াদের ওই সব অসুবিধা থেকে রেহাই দিতে আইসিআই স্কুলের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সব ছাত্রকে জুতো পরে স্কুলে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানশিক্ষক। বর্তমান শিক্ষাবর্ষের প্রথম কর্মদিবসে, অর্থাৎ ২ জানুয়ারির প্রার্থনা সভায় প্রধানশিক্ষক জয়ন্ত দত্ত বলেন, ‘‘প্রত্যেককে জুতো পরে স্কুলে আসতে হবে। জুতো কেনার জন্য ২০ দিন সময় দেওয়া হল। জুতো না পরে স্কুলে আসা যাবে না। আবার স্কুলও কামাই করা চলবে না।’’

সময়সীমা পার হলেও কয়েক জন ছাত্রকে খালি পায়ে স্কুলে আসতে দেখা যায়। অবশেষে ওই ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষকেরা তাদের বাড়িতে যান। প্রধানশিক্ষক বলেন, ‘‘বাড়ি গিয়ে জানা যায়, হতদরিদ্র পরিবারের ওই সন্তানদের কারও মা পরিচরিকার কাজ করেন। কারও দশা আরও খারাপ।’’

তাদের আর্থিক দুরাবস্থার কথা ভেবে শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে ৩০ জন ছাত্রকে জুতো কিনে দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shoe Gorabazar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE