Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কাজের দাবিতে সরব মজুরেরা

বাদকুল্লায় শুরু হয়েছে খেতমজুর সংগঠনের প্রথম রাজ্য সম্মেলন।

সারা ভারত খেতমজুর সংগঠনের প্রথম রাজ্য সম্মেলনে মুখের মিছিল। শনিবার বাদকুল্লায়। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

সারা ভারত খেতমজুর সংগঠনের প্রথম রাজ্য সম্মেলনে মুখের মিছিল। শনিবার বাদকুল্লায়। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

সম্রাট চন্দ 
বাদকুল্লা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৩
Share: Save:

উপ-নির্বাচনে জোট হলেও সরকার গঠনের জন্য বামপন্থীরা কংগ্রেসের সঙ্গে কখনওই জোট করবে না বলে স্পষ্ট করে দিলেন সারা ভারত খেতমজুর সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক এ বিজয়রাঘবন। শনিবার নদিয়ার বাদকুল্লায় এসে তিনি এ কথা জানান।

এ দিন থেকে বাদকুল্লায় শুরু হয়েছে খেতমজুর সংগঠনের প্রথম রাজ্য সম্মেলন। ধানহাটে তারই প্রকাশ্য সমাবেশ হয় এ দিন বিকেলে। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বিজয়রাঘবন বলেন, ‘‘এই নির্বাচনে স্থানীয় পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে জোট হয়েছে। বিজেপি এবং তৃণমূল— এই দুই শক্তির বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। এখানকার পরিস্থিতি দেখে আমরা এই দুই শক্তির বিরুদ্ধেই লড়াই করব। তারা কেউই মানুষের জন্য কাজ করছে না। কিন্তু এই রাজ্যে তো বটেই সরকার গঠনের জন্য কেন্দ্রেও কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের জোট হবে না।’’ পাশাপাশি তিনি জানান, সরকার গঠনের জন্য তাঁর দল কোথাও কারও সঙ্গে জোট করবে না।

সদ্য রাজ্যে উপ-নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। কিন্তু তারপরও বাম কর্মী সমর্থকদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি। এ দিনের সমাবেশে বাদকুল্লা ধানহাটে ছিল উপচে পড়া ভিড়। নানা বয়সি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় চোখে পড়েছে। শান্তিপুরের বাবলা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা দলের মহিলা সংগঠনের নেত্রী কাজল সেন রায় অশক্ত শরীরেও হাজির ছিলেন সেই ভিড়ে।

সাতের দশকের শেষের দিকে এবং আটের দশকের গোড়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হওয়া কাজল এখনও দলের নানা কর্মসূচিতে যোগ দেন নিয়মিতভাবে। দলের কর্মী সমর্থকদের এই সক্রিয়তা তাঁদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক বিজয়রাঘবন ছাড়াও ছিলেন সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক সুনীত চোপড়া, সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অমিয় পাত্র এবং দেবলীনা হেমব্রম, মেঘলাল শেখ-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। মঞ্চে ছিলেন খুন হওয়া দলীয় কর্মী বাবুলাল বিশ্বাসের পরিবারও। তাঁর স্ত্রী বড় মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে সমাবেশে আসেন। নাগরিক পঞ্জি এবং বিভাজনের রাজনীতিতে আখেরে দরিদ্র মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

৩৭২ জন প্রতিনিধি নিয়ে শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে রবিবার পর্যন্ত। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত কাজ, মজুরি এবং সামাজিক সুরক্ষা— এই বিষয়গুলিকেই আলোচনায় রাখা হবে। এ ছাড়াও তাঁদের দাবি, ১০০ দিনের প্রকল্পের বদলে বছরে ২৫০ দিন কাজ দিতে হবে। পাশাপাশি, এ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে বলে দাবি তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE