দশ দিন অধরা থাকার পর শেষে কান্দি মিছিল কাণ্ডে অভিযুক্ত আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্তদের মোবাইলের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে বড়ঞার মারুট গ্রাম থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতেরা হল সব্যসাচী দাস ওরফে সন্তু, মাধব দাস ওরফে মাধু, দুঃশাসন ঘোষ ওরফে লেবু। তবে এখনও অধরা সব্যসাচীর ভাই পার্থসারথী দাস। শুক্রবার ধৃতদের কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক কৃষ্ণকালী মুখোপাধ্যায় তাদের চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।”
২১ সেপ্টেম্বর কান্দি হ্যালিফক্স ময়দানে কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন ছিল। সভায় হাজির ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় কান্দি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রূপপুর এলাকায় কয়েকজনকে পিস্তল উঁচিয়ে নাচানাচি করতে দেখা যায়। শূন্যে গুলিও ছোড়ে। তারা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।
ওই ঘটনায় দু’দফায় রূপপুরের বাসিন্দা গয়ানাথ কৈবর্ত্য, সপ্তম ঘোষ, আলোক ঘোষ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইমরান শেখকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দু’টি দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ধৃত চার জন এখন জেল হেফাজতে রয়েছে। তবে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সব্যসাচী দাস, তার ভাই পার্থসারথী দাস, মাধব দাস ও দুঃশাসন ঘোষ ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল। পুলিশ অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েও তাদের গ্রেফতার করতে পারছিল না। পরে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে এগোতে সাফল্য মেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy