n বিডিও’র দফতরের অন্দরসজ্জা। নিজস্ব চিত্র
বিডিও-র ঘর সজ্জা বনাম তৃণমূলের গোসা!
দিন কয়েক আগে, গদি আঁটা চেয়ার থেকে কাচ বসানো টেবিল, মার্বেল টাইলস থেকে সুসজ্জিত কম্পিউটার র্যাক— লালগোলার বিডিও’র ঘর সজ্জা এবং তার খরচের বহর নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় খান পাঁচেক ছবি পোস্ট করেছেন ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শুভরঞ্জন রায়। সঙ্গে মন্তব্য, ‘কোনটা বেশি জরুরি সরকারি টাকায় লালগোলার বিডিও-র ঘর ডেকরেশন নাকি সরকারি টাকায় গরিব মানুষের জন্য কাজ করা?’
তা নিয়েই প্রশাসন বনাম দলের অন্দরে শুরু হয়েছে আকচাআকচি। ব্লক সভাপতির অনুগামীরা যেমন পাশে দাঁড়িয়ে সমস্বরে ওই ‘সজ্জা’ নিয়ে সরব। তেমনই দলের একাংশের মতে ‘প্রশাসনের কাজে দলের নাক গলানোই উচিত।’
শুভরঞ্জনের অমনুগামীদের দাবি, সাধারন মানুষ, যাঁরা ব্লক অফিসে আসেন ওই ঘর তাঁদের ‘ওয়েটিং রুম’ হিসেবে খুলে দেওয়া হোক। শুভ তাঁর পোস্টে বলছেন— ‘‘সরকারি টাকার অপচয় বন্ধ হোক এবং নিঃস্ব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা আমাদের সকলের মধ্যে গড়ে উঠুক।’’
এ দিন শুভরঞ্জন বলেন, ‘‘আমি মনে করি যেখানে সাধারন মানুষের বসার জায়গা নেই সেখানে এত লক্ষ টাকা খরচ করে বিডিও ঘর সাজানো সত্যিই সরকারি টাকার অপচয় করেছেন। ঘরে নতুন রঙ করানো থেকে এসি, এ পর্যন্ত মেনে নেওয়া গেলেও, নিজের ঘরের পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মানুষের টাকা নষ্ট করেছেন।’’
যা শুনে লালগোলা বিডিও শামসুজ্জামান বলেন, ‘‘যে এমন মন্তব্য করেছেন এ ব্যাপারে তাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন, এর বেশি আমি কিছু বলতে পারব না।’’ জেলা প্রশাসন অবশ্য ওই ব্লক কর্তার পাশেই দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, ‘‘ফাইনান্স কমিশনের টাকায় অফিস সারানো এবং সাজানো যায়। তা নিয়ে
প্রশ্ন তোলা অবান্তর। তবে, দেখতে হবে নিয়ম মেনে সে খরচ করা হয়েছে কি না।’’
তবে, ওই ঘর-সজ্জা নিয়ে লালগোলার তৃণমূল নেতার পাশে দাঁড়াচ্ছেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক আবু হেনা। তিনি বলেন, ‘‘ওটা অফিস তো নয়, যেন পাঁচতারা হোটেল! যেখানে মানুষের বসার জায়গা নেই সেখানে অত লক্ষ টাকা খরচ করে নিজের ঘর সাজানো, এটা সরকারি টাকার অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy