Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জালিয়াতির নালিশ, ধৃত তৃণমূলের নেতা

পুলিশ জানায়, বিধানচন্দ্রের কাছ থেকে কালনা পুরসভার সিল ও সই করা লেটারহেড ও ছাপানো জন্ম শংসাপত্র পাওয়া গিয়েছ। সেই সঙ্গে মিলেছে, শান্তিপুরের একটি স্কুলের সিল, শংসাপত্র এবং প্রচুর পাসপোর্ট ছবি। পুলিশ জানতে পেরেছে, বিধান টাকা নিয়ে ওই ভুয়ো নথির কারবার করত।

বিধানচন্দ্রের কাছ থেকে কালনা পুরসভার সিল ও সই করা লেটারহেড ও ছাপানো জন্ম শংসাপত্র পাওয়া গিয়েছ।—প্রতীকী চিত্র।

বিধানচন্দ্রের কাছ থেকে কালনা পুরসভার সিল ও সই করা লেটারহেড ও ছাপানো জন্ম শংসাপত্র পাওয়া গিয়েছ।—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৭ ০১:২৪
Share: Save:

শাসক দলের নেতা হিসেবেই পরিচিতি ছিল তাঁর। সেই সূত্রে বাড়িতে লোকজনের আনাগোনাও কম ছিল না। তা নিয়ে পাড়া পড়শির তেমন মাথা ব্যাথাও ছিল না। তবে, শান্তিপুরের থানার পুলিশ নৃসিংহপুরের বিধানচন্দ্র সরকারকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করার পরে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরাই— ফের দুর্নীতি!

পুলিশ জানায়, বিধানচন্দ্রের কাছ থেকে কালনা পুরসভার সিল ও সই করা লেটারহেড ও ছাপানো জন্ম শংসাপত্র পাওয়া গিয়েছ। সেই সঙ্গে মিলেছে, শান্তিপুরের একটি স্কুলের সিল, শংসাপত্র এবং প্রচুর পাসপোর্ট ছবি। পুলিশ জানতে পেরেছে, বিধান টাকা নিয়ে ওই ভুয়ো নথির কারবার করত। ভোটার তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার নামে মোটা টাকাও কামাত বলে পুলিশের অনুমান। বছর দুয়েক ধরে সে এই কাজ করছে বলে জেরায় তা কবুলও করেছে বিধানচন্দ্র। বিধান গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী হয়। গ্রামে তার প্রতিপত্তি-জেল্লা বাড়তে থাকে তার পর থেকেই। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘শাসক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এই প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ঢালাও ভুয়ো সার্টিফিকেটের কারবার ফেঁদেছিল সে।

তবে, তার গ্রেফতারির পরে স্থানীয় পঞ্চায়েত বিধানচন্দ্রকে এড়িয়ে যেতেই চাইছে। পঞ্চায়েতে তৃণমূলের উপপ্রধান দেবপ্রসাদ মেট জানিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘কেউ অন্যায় করলে আইনি পথেই তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE